Friday, October 23, 2015

দু’আ তো করেছিলাম

পর্নমুভি দেখা থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না মাঝে মাঝেই হারাম উপায়ে আপনার প্রবৃত্তির চাহিদা মেটাচ্ছেন এগুলো থেকে বের হয়ে আসতে চান কিন্তু পারছেন না ? 

তাহলে দু’আ করতে থাকুন আল্লাহ্‌র কাছে । ইনশা আল্লাহ্‌ আপনার রব আপনাকে নিরাশ করবেন না । 

আর তোমাদের রব বলেছেন , ‘তোমরা আমাকে ডাক আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেব। ’ {সূরা আল-মু‘মিন আয়াত : ৬০ }


আল্লাহ্‌ লাজুক দয়াবান । যখন কোন মানুষ তাঁর দিকে দু’খানা হাত উঠায় (দু’আ করতে) তাহলে তিনি তা ব্যর্থ ও শুন্যভাবে ফিরিয়ে দিতে লজ্জা পান ।
(তিরমিজী,ইবনু মাজাহ ইবনু হিব্বান । হাদীসের মান -সহীহ )

 এক লেকচার শুনেছিলাম । সেখানে তিনি বলছিলেন , “ যদি আপনি কোন পাপ কাজ থেকে দূরে সরে থাকার চেষ্টা করছেন বা রাসূল (সাঃ) এর কোন সুন্নাহ নিজের জীবনে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাতে সফল হচ্ছেন না ।

তাহলেআপনি আল্লাহ্‌র (সুবঃ) কাছে সাহায্য চান । রাতের গভীরে আপনার পাপের জন্য অনুতপ্ত হোন । রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রতি দরুদ পড়ে আল্লাহ্‌ (সুবঃ) এর কাছে খালিশ অন্তরে দু’আ করুন , “ ইয়া আল্লাহ্‌ ! আমি ঐ কাজটা থেকে বেঁচে থাকতে থাকতে চাই কিন্তু আমার নফসের কারণে শয়তানের ধোকার কারণে আমি সেই পাপ থেকে দূরে থাকতে পারছি না । আমার চারপাশের পরিবেশও বিরূপ । আপনি সবকিছুর উপরেই পূর্ণ ক্ষমতাবানকাজেই আমাকে সেই কাজ থেকে দূরে সরে থাকার তৌফিক দান করুন ।

এই দু’আ করতে কি খুব বেশি কষ্ট হবে তেমন কোন সময় খরচ হবে ?
-না । কিন্তু সামান্য কষ্ট করে,সামান্য সময় ব্যয় করে আপনার করা এই দু’আ হাশরের ময়দানে আপনার কাছে অমূল্য ধন মনে হবে ।

হাশরের ময়দানে আল্লাহ্‌ (সুবঃ) তাঁর বান্দা জিজ্ঞাসা করবেন , “ হে আমার বান্দাতুমি ঐ পাপ কাজটা কেন করলে কেন একাকী রুমের দরজা লাগিয়ে চোখের খিয়ানত করলে হারাম জিনিস দেখলে হারাম কাজে লিপ্ত হলে ?

বান্দা হয়তো উত্তর দিবে , “ ইয়া রব! আমি আমার নফসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম না । আমার চারপাশের পরিবেশের ছিল ফাহেশায় (অশ্লীলতাবেহায়াপনানির্লজ্জতা) ছড়াছড়ি । আমার কি দোষ ?

আল্লাহ্‌ (সুবঃ) বান্দার এই উত্তর শুনে বলবেন, “ তুমি আমার কাছে কেন সাহায্য চাও নি আমি কি কুরআনে বলিনি আমি এই মহাবিশ্বের একচ্ছত্র অধিপতি সকল বিষয়ের উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান (ইন্নাল্লাহা ক্বুল্লি শাইয়ীন ক্বাদীর)কেন তুমি আমার কাছে চাওনি ?
আমি কি তোমার অন্তর পরিবর্তন করে দিতে পারতাম না চারপাশের ফাহেশা থেকে তোমাকে বাঁচাতে পারতাম না ?
বান্দা কোন উত্তর দিতে না পেরে চুপ হয়ে যাবে ।

তো ভাই ,আল্লাহ্‌র কাছে সাহায্য চান । তাহলে হাশরের ময়দানে অন্তত আল্লাহ্‌কে (সুবঃ) এটা বলতে পারবেন , “ ইয়া আল্লাহ্‌! আমি তোমার কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম তোমার কাছে দু’আ করেছিলাম তুমি এখন আমাকে মাফ করে দাও।

আল্লাহ্‌র কাছে দু’আ করুন এভাবে যেন আপনি আল্লাহ্‌র (সুবঃ) সঙ্গে কথা বলছেন । ইয়া আল্লাহ! আমি সম্পূর্ণ ভাবে তোমার কাছে আত্মসমর্পণ করলাম তোমার উপরই ভরসা করলাম। তুমি আমাকে ঐ পাপ থেকে বাঁচাও আর না হলে আমাকে হাশরের ময়দানে ঐ পাপের কারণে পাকড়াও করোনা ।

সুবহানাল্লাহ্‌ ভাই এইভাবে দু’আ করলে আপনার শুধু লাভ আর লাভ । আল্লাহ্‌ (সুবঃ) হয় সেই পাপ থেকে আপনাকে বাচাবেন আর না হলে তাঁর শাস্তি থেকে বাঁচাবেন । দুই দিক থেকেই আপনার লাভ ।
                                                         -------------0----------------

সহীহে হাদীসে এসেছে বান্দা যখন আল্লাহ্‌র কাছে দু’আ করে এবং ফলাফলের জন্য ব্যস্ত হয়ে যায় বলতে থাকে “কখন আল্লাহ্‌ আমার দু’আর উত্তর দিবেনকখন আমি আমার কাঙ্ক্ষিত বিষয়টা পাবোতখন তার দু’আর জবাব দেওয়া হয় না । (মুসলিম)
কাজেই আল্লাহ্‌র উপর থেকে আশা না হারিয়ে দু’আ করতে থাকুন । আপনার দু’আ ব্যর্থ হবে না ইনশা আল্লাহ্‌ .
 


 


1 comment:

  1. INN SHAA ALLAH.
    JAZAKALLAHU KHAIRAN.
    ALLAH amader shobar Dua kobul koruk ebnong amader shobaike pap theke rokka koruk o amader shobaike koma kore JANNAT dan koruk AAMEEN.

    ReplyDelete