Tuesday, December 29, 2015

মুখোশ উন্মোচনঃ পর্ব- তিন (পাশ্চাত্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারী নির্যাতন)

বিসমিল্লাহির রহমানীর রহীম ।
অগাস্ট, ২০১৩।
ইউ.এস. এ। 
স্বপ্ন, স্বাধীনতা আর স্বাধিকারের ভূমি।

সদ্য ১৯ -এ পা দেয়া সারা (ছদ্মনাম)আজ খুব খুশি। ওর এতোদিনের স্বপ্ন পূরন হতে যাচ্ছে। অনেক চেষ্টার পর শেষ পর্যন্ত সুযোগে মিলেছে পছন্দের ইউনিভার্সিটিতে পড়ার। এসেছে সেই প্রতীক্ষিত মুহূর্ত। ক্যাম্পাসের দ্বিতীয় রাতে সব ক্লাসমেইটরা মিলে পার্টি করছিল। সারাও ছিল সেখানে। ঘড়ির কাঁটা বারোর ঘর ছুঁয়ে ফেলেছে বেশ আগেই। দেখা হয়ে গেল এক পুরুষ ক্লাসমেইটের সাথে। ছেলেটাকে আগে কখনো না দেখলেও মাঝে মাঝে অনলাইনে কথা হয়েছে। কিছুক্ষন গল্প গুজবের পর ছেলেটা প্রস্তাব দিল, “চলো, কিছু ড্রিংক করা যাক”। মাথা নেড়ে সায় জানালো সারা, “ভালো বলেছো, গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে”। ছেলেটা গ্লাসে ড্রিংক ঢেলে দিল। সারা চুমুক দিল গ্লাসে। তারপর আর কিছুই মনে নেই...

নয় ঘন্টা পর যখন জ্ঞান ফিরলো সারা নিজেকে আবিষ্কার করল অপরিচিত এক বিছানায়। মাথাটা ঝিম ঝিম করছিলো, গায়ে একটা সুতো পর্যন্ত নেই। চুলগুলো এলোমেলো। বিছানার পাশে চেয়ারে বসে আছে একটা ছেলে। এই ছেলেটাই গত রাতে ওর গ্লাসে মদ ঢেলে দিয়েছিলো, মনে পড়লো সারা। স্থানীয় একটা হাসপাতালে মেডিক্যাল চেকআপের রিপোর্ট থেকে নিশ্চিত হওয়া গেল, সারাকে ধর্ষণ করা হয়েছে’।[১] 


ইউরোপ-অ্যামেরিকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এরকম ঘটনা খুবই কমন। ধর্ষণ ইউরোপ-অ্যামেরিকার শিক্ষার্থীদের কাছে অতি সাধারণ ঘটনা। বিশ্ববিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পৃথিবীর ইতিহাস বদলে দেওয়া অনেক মানুষ তৈরি করছে সত্য, কিন্তু সেই সাথে তৈরি করছে অনেক ধর্ষক আর তার চেয়ে বেশি ধর্ষিতা। অ্যামেরিকার স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস গুলোই নারীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে অনিরাপদ ক্যাম্পাস ।
কথাগুলো অতিরঞ্জিত মনে হতে পারে তবে আশা কিছু পরিসংখ্যান অবস্থার ভয়াবহতা বুঝতে সাহায্য করবে –
#   এমন  ছয়লাখ তিয়াত্তর হাজার  শিক্ষার্থী যারা এ মুহূর্তে আমেরিকার কলেজ এবং ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছেন তাঁরা জীবনে অন্তত একবার   ধর্ষণের শিকার হয়েছেন[২]
#  প্রতি ২১ ঘন্টায় আমেরিকার কোন না কোন কলেজের ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে [৩]। 
#  প্রতি ১২ জন কলেজেগামী পুরুষ  শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ জন ধর্ষণের সাথে জড়িত[৪] ।  
#  ইংল্যান্ডের প্রতি তিনজন মহিলা শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন  তাঁর নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ধর্ষণের  শিকার হয় [৫]
#   আন্ডারগ্র্যাড লেভেলের অর্ধেক মহিলা শিক্ষার্থী  জানিয়েছেন তারা  প্রত্যেকেই এমন কাউকে চিনেন যারা  তাদের নিজেদের  ক্যাম্পাসেই নিজেদের বন্ধুদের  দ্বারা  ধর্ষণের শিকার হয়েছে [৬]।   
# প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায়, ২০১৪ সালে জানুয়ারিতে এক ভাষণে বারাক ওবামা বলে - পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অ্যামেরিকান কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে প্রতি ৫ জন নারী শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ জন ধর্ষিত হয়েছেন [৭]
 “We know the numbers: one in five of every one of those young women who is dropped off for that first day of school, before they finish school, will be assaulted, will be assaulted in her college years.”
–Vice President Biden, remarks on the release of a White House report on sexual assault, April 29, 2014 [৮]

ফার্স্ট  ইয়ারের ফ্রেশ স্টুডেন্টদের জন্য নবীনবরণ দিন থেকে শুরু করে থ্যাংকসগিভিংডে পর্যন্ত এই ছয় সপ্তাহ সবচেয়ে ভয়াবহ । এই সময় তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে, নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য তাদের সংগ্রাম করতে হয় । সেই সাথে সিনিয়রদের “দাদাগিরি” ফলানোতো আছেই ।   

Association of American Universities এর নতুন প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়,গ্র্যাজুয়েশান কোর্স শেষ করার পূর্বে প্রতি চার জন্য নারীর মধ্যে একজন ধর্ষণের শিকার হন । এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে গত বসন্তে ২৭ টি টপ ইউনিভার্সিটির প্রায় দেড়লাখ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জরিপ চালিয়ে ।
এই  প্রতিবেদনে আমেরিকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী নির্যাতনের যে চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা  ২০১৪ সালের আগের প্রতিবেদন (1 in a 5 stats, এই প্রতিবেদন দেখেই ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য  প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন গঠন করেছিল – white house task force to protect students from sexual assault  ) থেকে অনেক ভয়াবহ .
White house task force এর প্রথম রিপোর্টে (not alone) অবশ্য বলা হয়েছিল প্রতি চার জন নারী শিক্ষার্থীর মধ্যে তিন জন ক্যাম্পাসে থাকাকালীন যৌন নির্যাতনের শিকার হন । প্রায় ৮৪ শতাংশ  ক্ষেত্রে ধর্ষক ভিক্টিমের পরিচিত থাকে । বেশীর ভাগক্ষেত্রেই  ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় ভিক্টিমের বন্ধু, ক্লাসমেট , এক্স- বয়ফ্রেন্ড অথবা পরিচিত অন্য কেউ । প্রতিবেদনে আরো দেখা যায় – ধর্ষণের সময় অধিকাংশ ভিক্টিম স্বাভাবিক সচেতন অবস্থায় ছিলেন না – তারা হয় মাতাল ছিলেন বা কোন হার্ড ড্রাগস নিয়েছিলেন  অথবা কোন ভাবে হুঁশ হারিয়ে ফেলেছিলেন [৯]

সারা তার ধর্ষকের  বিরুদ্ধে কোন চার্জ আনেননি এবং  জনসম্মুখে প্রকাশও করেননি ঠিক কে তাকে ধর্ষণ করেছিল । আমেরিকাতে ধর্ষণের ঘটনা চেপে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু না । American Civil Liberties Union   এর রিপোর্ট অনুযায়ী ৯৫ শতাংশ ধর্ষণের শতাংশ ধর্ষণের ঘটনার পর কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়না [১০,১১]

এক্সপার্টদের মতে এর কারণ হতে পারে  ভিক্টিমের মানসম্মান হারানোর ভয় , ধর্ষকদের বিচার না করা বা তাদের প্রতি সমাজের সহানুভূতি । ধর্ষণের ঘটনা রিপোর্ট করা হলেও , বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ধর্ষকের গায়ে ফুলের টোকাটা পর্যন্ত পড়ে না আইনী এবং প্রশাসনিক জটিলতার কারণে ।   বোঝেন আমেরিকার  এই সমাজ কতটা পচে গেছে ।  

অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে তা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে । তবে  সেগুলো খুব একটা ফলপ্রসু হচ্ছে না  কলেজ,ইউনিভার্সটির কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে ।

 u.s. senate subcommittee on financial & contracting oversight স্বীকার করেছে  ৪৪০টি কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি স্যাম্পলের মধ্যে  ৪০ শতাংশেরও বেশি কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি গত ৫ বছরে একটা যৌন নিপীড়নের ঘটনার তদন্তও ভালোমতো করেনি । 

বেশিরভাগ  কলেজ , ইউনিভার্সটি কর্তৃপক্ষ  চাচ্ছে না তাদের ক্যাম্পাসে ঘটা নারী নির্যাতনের ঘটনা গুলো বের হয়ে আসুক । কে আর নিজেদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে চায় ? কেই বা চাইবে  নিজেদের গোমর ফাঁস করে দিয়ে সরকার বা কোন দাতব্য সংস্থার ফান্ডিং  হারাতে । বাধ্য হয়ে সারা’র  মতো শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো চেষ্টা করছেন ক্যাম্পাসে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য । বিভিন্ন সোসাইটি বা মুভমেন্টের মাধ্যমে তারা চেষ্টা করছেন ধর্ষণের বিরুদ্ধে সবাইকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসার [১২]।   

সুবহানআল্লাহ !  উপরে যতই মহান , সভ্য , উদার , মানবিক বলে মনে হোক না কেন  এই হল পাশ্চাত্যের বস্তুবাদী সভ্যতার আসল চেহারা ।   স্বাধীনতা আর নারীর সমানাধিকার বলে চিল্লাপাল্লা করে   গলা ফাটিয়ে ফেললেও দিন শেষে নারীর ইজ্জতের চেয়ে তাদের কাছে ভাবমূর্তি আর ডলারের মূল্য অনেক  বেশি। মদীনাতে একজন মুসলিম মহিলার সম্মানের জন্য মহানবী (সাঃ) ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে ফেলেছিলেন প্রায় । মাত্র একজন মহিলার জন্য । অথচ এই ইসলামকে আজ পুরো বিশ্ব জুড়ে  খুব সুপরিকল্পিত ভাবে রিপ্রেজেন্ট করা হচ্ছে  নারী স্বাধীনতার হন্তারক হিসেবে । বোরখার আড়ালে মুসলিমরা নারীদের  ঘরের চার দেয়ালে আটকে রাখে ,  সম্পত্তিতে নারীদের সমানাধিকার দেয় না , মুসলিমরা সেক্স  স্টারভড  ব্লা ব্লা ব্লা ......   
  
#ডাবলস্ট্যান্ডার্ড
চলবে ইনশা আল্লাহ .........
প্রথম দুই পর্বের লিংক –
 মুখোশ উন্মোচনঃ প্রথম পর্ব-  http://bit.ly/2rniAco
মুখোশ উন্মোচনঃ দ্বিতীয় পর্ব - http://bit.ly/2DQZGxg

রেফারেন্সঃ
[১]One of the most dangerous places for women in America -http://cnb.cx/2Dren8S
[৩] The Culture of Rape on College Campuses –http://bit.ly/2AMp4Rt
[৪] CAMPUS SEXUAL VIOLENCE: STUDENT RIGHTS, UNIVERSITY RESPONSIBILITIES, & LEGAL LIABILITY PURSUANT TO THE CLERY ACT & TITLE IX - http://bit.ly/2mempuM
[৫] One in three UK female students sexually assaulted or abused on campus -http://bit.ly/1sx4HCR
[৬] One in three UK female students sexually assaulted or abused on campus -http://bit.ly/1sx4HCR
[৭] Women and Girls - http://bit.ly/2CgN3wX
[৮] One in five women in college sexually assaulted: an update on this statistic -http://wapo.st/2DPbvDS
[৯] Not Alone Report, White House Task Force to Protect Students from Sexual
Assault, 2014 - http://bit.ly/2lkEJSl
[১০] One of the most dangerous places for women in America -http://cnb.cx/2Dren8S
[১১] New Report Shows 95% of Campus Rapes Go Unreported -http://bit.ly/2Ch0afa   
[১২] One of the most dangerous places for women in America- http://cnb.cx/2Dren8S   



 


Saturday, December 26, 2015

একগুচ্ছ অনুবাদ (প্রথম কিস্তি)

বিসমিল্লাহির রহমানীর রহীম ।




আমাদের সমাজের অনেক গভীরে পর্ণ মুভি শাখা প্রশাখা বিস্তার করে আছে । ছেলে, বুড়ো , মধ্য বয়স্ক বিবাহিত, অবিবাহিত এমনকি অনেক মেয়েরাও আজকাল পর্ণমুভিতে আসক্ত। কিন্তু খুবই দুঃখের বিষয় এই ভয়ংকর গুনাহ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করার প্রয়াস খুব একটা দেখা যায়না আমাদের দেশে । অনেক মানুষের সঠিক ধারনাও নেই পর্ণমুভির অপকারিতা সম্পর্কে। আমাদের ব্লগের যাত্রা শুরু হয়েছিল মানুষজনকে পর্ণ মুভির ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা এবং চোখের হেফাজত করার মাধ্যমে আল্লাহ’র (সুবঃ) আনুগত্য করতে মানুষজনকে সহায়তা করার উদ্দেশ্য সামনে নিয়ে । আমাদের কাজটা একটু সহজ হত যদি বাংলা ভাষায় পর্ণ মুভির ব্যাপার গুলো নিয়ে কোন ম্যাটেরিয়ালস থাকতো । কিন্তু বাংলা ভাষায় পর্ণমুভির টপিক নিয়ে খুব কম কাজ হয়েছে । কাজেই ব্লগের আর্টিকেল লিখতে যেয়ে আমাদের বেশীরভাগ সময় সাহায্য নিতে হয় ইংরেজীতে লিখা বিভিন্ন বই কিংবা ওয়েবসাইটের । যেহেতু বাংলা ভাষায় এ ব্যাপার নিয়ে গবেষণা হয়নি আর তেমন কোন রিসোর্সও নেই এবং আমরা টুকটাক কাজ করছি এগুলো নিয়ে , কাজেই আমাদের মনে হয়েছে আমরা যতদূর পারি ইংরেজী ভাষার রিসোর্স গুলো বাংলায় অনুবাদ করে রাখি । কোন একসময় গবেষনা বা অন্য কোন কাজে কেউ এখান থেকে উপকৃত হতে পারেন ।


# একবার দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসন পর্ণ মুভির ব্যাপারে বেশ উদার নীতি গ্রহণ করল । পর্ণ মুভি বানানো ,প্রচার , প্রসার পূর্বে আইনত নিষিদ্ধ থাকলেও তারা সেসময় চোখ বুজে রাখতো । দেখেও না দেখার ভান করতো । ফলাফল - ধর্ষণের ঘটনা ২৮৪% বেড়ে গেল একই সময় অস্ট্রেলিয়ায় কুইন্সল্যান্ডে পর্ণমুভির বিরুদ্ধে প্রশাসন থেকে খুব কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হল । কিছুদিন পর প্রশাসন দেখল ধর্ষণ ঘটনা পূর্বের তুলনায় মাত্র ২৩% বৃদ্ধি পেয়েছে । হাওয়াইতে একবার পর্ণমুভির ব্যাপারে উদারনীতি গ্রহণ করা হল , কিছুদিন যাবার পর পর্ণমুভির বিরুদ্ধে প্রশাসন থেকে খুব কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হল তারপর আবার উদারনীতি । ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেল যখন পর্ণ মুভির ব্যাপারে উদারনীতি নেওয়া হয়েছিল তখন ধর্ষণের মাত্রা অনেক বেশী ছিল , যখন প্রশাসন কঠোরতা অবলম্বন করেছিল তখন ধর্ষণের মাত্রা কমে গিয়েছিল । তারপর আবার উদারনীতি গ্রহণ করার ফলে ধর্ষণের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল । (১) বাংলাদেশেও ইদানীং ধর্ষণের মাত্রা বেড়ে গেছে । বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জরিপ অনুসারে চলতি বছরের (২০১৫) জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত দেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে মোট ৪৯২ টি । ২০১৪ সালের পুরো বছরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল মোট ৯৩৯ টি । (প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। এগুলো কেবল মাত্র রিপোর্ট কৃত কেসের ঘটনা ) বাংলাদেশের সাম্প্রতিককালের ধর্ষণের উচ্চ মাত্রার জন্য দায়ী হতে পারে এ দেশে পর্ণমুভি , আইটেম সং নামক সফটকোর পর্ণ মুভির ব্যাপক প্রসার । ঢাকা ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর আয়েশা মাহমুদাও মনে করেন পর্ণমুভি এবং ড্রাগসের সহজ লভ্যতা বাংলাদেশে ধর্ষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে ।



(২) Porn_fuels_rape:
আমি দীর্ঘ দিন যাবত হাজতবাস করছি। আমি এমন অনেক লোকের সংগে মিশেছি যারা এক একজন ছিল ভয়ংকর অপরাধী। হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া প্রায় প্রত্যেকেই ছিল মারাত্মকভাবে পর্ণমুভিতে আসক্ত। F.B.I নিজেরা একবার গবেষণা করে দেখেছিল সিরিয়াল কিলারদের সবার একটা বিষয় কমন- সেটা হল পর্ন আসক্তি । এবং আমি মনে করি এটা সত্য”। - Ted Bundy, Serial Killer & Rapist of at least 28 Women & Girls 

# “... পর্ণোগ্রাফী হল থিওরি আর ধর্ষণ হল তার প্র্যাক্টিকাল”। Robin Morgan



(৩)Porn fuels violence: Cameron Hooker নামক এক লোকের ফ্যান্টাসী ছিল নারীদের বেঁধে বস্ত্রহীণ করে তার উপর নির্যাতন চালানো । তার এরকম ফ্যান্টাসীর উৎস ছিল এক বিশাল হার্ডকোর পর্ণমুভির কালেকশান । একবার সে এক নারীর হাত পা এবং চোখ বেঁধে নির্যাতন করছিল । এক পর্যায়ে সেই নারী তার চোখে বাঁধা কাপড়ের ফাক দিয়ে আবিষ্কার করে বসে যে দেয়ালে একটা নগ্ন মহিলার ছবি ঝোলানো আছে । ছবির সেই মহিলাটা যেভাবে যে পজিশানে ছিল, Cameron ও তাকে ঠিক সেভাবে সেই পজিশানে বেঁধে রেখেছে । অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল সেই ছবি দেখে Cameron এর ভেতরে যে বিকৃত ফ্যান্টাসীর সৃষ্টি হয়েছিল সে সেটাই বাস্তবায়ন করছে এই নারীকে নির্যাতন করার মাধ্যমে ।


(৪)  যারা পর্ণোগ্রাফীতে আসক্ত তাদের পতিতালয়ে যাবার সম্ভাবনা সেই সব লোকদের থেকে বেশী থাকে যাদের পর্ণমুভিতে আসক্তি নেই । আবার যেসব লোক নিয়মিতি পতিতালয়ে যায় তারা সেই সব লোকদের থেকে বেশীমাত্রায় পর্ণোগ্রাফীতে আসক্ত যারা হঠাৎ হঠাৎ পতিতালয়ে যায় ।


(৫) আপনি হয়তো ভাবতেই পারছেন না আপনার পর্ণ আসক্তি একদিন আপনাকে পতিতালয়ে নিয়ে যাবে । কিন্তু এটাই বাস্তবতা । এমন হাজার হাজার পর্ণ আসক্ত পাওয়া যাবে যাদের পর্ণ আসক্তির শেষ পরিনতি ছিল পতিতালয়ে গমন । পর্ণমুভি দেখা এমন একটা ভয়ংকর অভ্যাস যা খুলে দিবে আরো অনেক বড় বড় পাপের পথ ।  


# “......... আমি আমার চিকিৎসা পেশার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি পর্ণমুভি এর দর্শকদের যৌনক্ষমতা নষ্ট করে দেয় । পর্ণমুভির ভোক্তাদের খুব বেশী যে সমস্যা হয় সেটা হল অকাল বীর্যপাত কিংবা সন্তান জন্মদানে অক্ষমতা । স্ক্রীনের ওপারের অবাস্তব যৌন ফ্যান্টাসীতে খুব বেশী সময় ধরে ডুবে থাকার কারণে বাস্তব জীবনে তাদের স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে বেডরুমে তারা প্রচন্ড অস্বস্তিতে ভোগে । পর্ণমুভি তাদের ভেতরের প্রবৃত্তিটাকে সবসময় উত্তেজিত করে রাখে আরো বেশী বেশী যৌনতার জন্য কিন্তু একই সাথে এটা তাদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দেয় , দেখা দেয় অতৃপ্তি ”।-- Dr. MaryAnne Layden



# (পড়তে পারেন – পর্ণ পুরুষের যৌবন শক্তি বিনষ্টকারী (http://lostmodesty.blogspot.com/2015/07/blog-post.html?m=0 )  


(৬) ভারত ক্রমাগতভাবে নারীদের জন্য অনিরাপদ রাষ্ট্রগুলোর একটিতে পরিণত হচ্ছে । ধর্ষণ সেখানকার নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনা । ২০১২ সালে দিল্লীতে চলন্ত বাসে গ্যাং রেপের পাশবিকতা পুরো বিশ্বমিডিয়াতে ঝড় তুলেছিল । পুরো পৃথিবীর মানুষ বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিল – মানুষ এতটা নিষ্ঠুর কিভাবে হতে পারে! ভারতে ধর্ষণের বেশীরভাগ ঘটনাই চাপা পড়ে যায় , লোকলজ্জার ভয়ে খুব কম ধর্ষিতাই থানায় অভিযোগ করে , কিংবা মিডিয়ার কাছে যায় । তবে মাঝে মাঝে যেসব ধর্ষণের খবর মিডিয়াতে আসে সেগুলো এই একবিংশ শতাব্দীর তথাকথিত উন্নত, মহান সভ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে । ভারতের মতো গনতান্ত্রিক দেশের আধুনিক,মুক্তমনা, সভ্য সেকুল্যার সমাজের অন্তঃসারশুন্যতা প্রকাশ করে দেয় এই ধর্ষণের ঘটনাগুলো । বলিউডের অভিনেতা বিশেষ করে অভিনেত্রীরা ধর্ষণের বিরুদ্ধে বেশ তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান । তীব্র সমালোচনা করেন সেই সব পুরুষদের যারা নারীদের সম্মান করে না । অথচ এইসব অভিনেত্রীদের আয়ের একটা বড় অংশ আসে আইটেম সং এ অর্ধ নগ্ন হয়ে, কামার্ত পুরুষদের সামনে উত্তেজকভাবে নেচে নেচে । টাকার জন্য কাপড় খুলে বেডরুমের দৃশ্যে অভিনয় করতে এরা দ্বিধাবোধ করে না । এরা পুরুষদের বলে নারীদের সম্মান করতে অথচ এরাই আইটেম সঙ্গে পুরুষদের বলে আমি চিকেন তান্দুরী , তুই আমাকে মদ দিয়ে গিলে খা । সিনেমা একটি শক্তিশালী মাধ্যম ।মানুষ সিনেমায় তার প্রিয় নায়ক / নায়িকাকে যা করতে দেখে সেটা সে অনুকরন করতে চাই । কাজেই কারিনা কাপুর যখন আইটেম সং এ উত্তেজকভাবে নেচে নেচে , পুরুষদের কামার্ত করে এই মেসেজটা দেয় যে আমি চিকেন তান্দুরী, তুই আমাকে মদ দিয়ে গিলে খা তখন সেটার প্রতিক্রিয়া যে সমাজে ধর্ষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিবে এটা স্বাভাবিক ।


বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা ওমপুরিও মনে করেন , ভারতীয় চলচিত্রের আইটেম গানে অশ্লীলতার মাত্রা এত বেড়ে গেছে যে এটা ধর্ষণকে উৎসাহিত করে । পদ্মশী পুরষ্কার জেতা এই গুনী অভিনেতা বলেন , “ এখনকার হিন্দী মুভির আইটেম গানগুলো খুবই অশ্লীল । এই গানগুলোতে এমন সব ড্যান্স মুভমেন্ট আছে যা দেখে মনে হয় তারা বোধহয় সেক্সের ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছে গেছে । ক্ষমা করবেন এরকম শব্দ ব্যবহার করার জন্য । কিন্তু অবস্থাটা এতটাই ভয়াবহ ।
কেউ যদি তার অবদমিত যৌন আকাংখা পূরন করতে চাই তাহলে এসব গানের সিডি কিনে তা চালিয়ে দেখলেই পারে । পুরোনো দিন গুলোতে এরকমটা ছিল না । ষাট , সত্তর এমনকি আশির দশকের মুভি গুলোতে বার, নাইটক্লাবে চিত্রায়িত যে গানগুলো দেখানো হতো সেগুলো এতটা অশ্লীল ছিল না । পুরোনো দিনগুলোতে এত ধর্ষণের ঘটনাও ছিল না । আমি নিশ্চিত , আইটেম গান গুলো ধর্ষণের ঘটনা বাড়িয়ে দিচ্ছে ।

(লস্ট মডেস্টী অনুবাদ টীম কর্তৃক অনূদিত)
চলবে ইনশা আল্লাহ ......


রেফারেন্সঃ
১) Court, J. (1984). Sex and violence a ripple effect. In Malamuth, N & Donnerstein, E (Eds), Pornography and sexual aggression. San Diego, Academic Press.

২)
http://www.dhakatribune.com/crime/2015/jul/25/intelligence-100-rapes-six-months-most-unreported

৩) Theory and Practice: Pornography and Rape," 1974 in "Going Too Far: The Personal Chronicle of a Feminist" (1977)

৪) The Perfect Victim (McGuire & Norton 1988). ." [p. 23 and p. 741] [p.741]

৫) Monto, M. (1999). Focusing on the clients of street prostitutes: a creative approach to reducing violence against women. Final report for the National Institute of Justice. Available at www.ncjrs.org.

৬)Reisman, Sanitover, Layden, and Weaver, “Hearing.”

Monday, December 21, 2015

পর্বত জয়ের প্রতিজ্ঞা

বিসমিল্লাহির রহমানীর রহীম।



কাগজ-কলম নিয়ে বসে যান নিরিবিলি কোনো রুমে তারপর স্মৃতি খুঁড়ে বের করে আনুন হস্তমৈথুন করা, পর্ন ভিডিও দেখা বা চটিগল্প পড়ার ঠিকপরের অনূভুতিগুলো বিস্তারিত লিখুন হস্তমৈথুন করার পর বা পর্নভিডিও দেখার পর আপনার কতটা খারাপলাগে, কতবার নিজেকে ধিক্কার দেন, কতবার আপনার মাটির সাথে মিশেযেতে ইচ্ছে করে কেন আপনি হস্তমৈথুন বা পর্নোগ্রাফি দেখা ছাড়তে চান এক এক করেলিখুন সবকিছুই খুঁটিনাটি কিছুই বাদ দেবেন না খুঁজে বের করুনকেন আপনি হস্তমৈথুন করেন বা পর্ন ভিডিও দেখেন লেখা শেষে সযত্নে রেখে দিন কাগজগুলো পরে আমাদের কাজে লাগবে এগুলো
.
এবার একটি ডায়েরি বা খাতা নিয়েবসুন তারপর লিখুন, যে বছরথেকে আপনি হস্তমৈথুন করা শুরু করেছেন বা পর্ন দেখাশুরু করেছেন সে বছর এবংতারপাশে লিখুন দিনে কতবার হস্তমৈথুন করতেন বা কতক্ষণ পর্ন দেখতেন পরের লাইনতার পরের বছরের জন্য পরের লাইন তার পরের বছরের জন্য এভাবে সিরিয়াল অনুযায়ী লিখতে থাকুন চলতি বছর পর্যন্ত এটিও ভালোমতো রেখে দিন শিশু অভিভাবকের নাগাল থেকে দূরে,নিরাপদে
.
পরের কাজটুকু খুব গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ মানুষই এই কাজটি করার ব্যাপারেঅনীহা দেখান একজন ভালো বন্ধু খুঁজে বের করতে হবে আপনার হতে পারে সেটা আপনার ক্লাসমেট, বড়ভাই, কোনো নিকটাত্মীয় বাস্ত্রী যার কাছে আপনি মন খুলে কথাবলতে পারেন এবং যিনি আপনার গোপনীয় ব্যাপারগুলো গোপনই রাখেন বিশ্বস্ত তাকে সব খুলে বলুন আপনি যে তওবা করেএই অন্ধকার জগৎ থেকে বের হয়ে আসতে চান, সেই কথা বলুন তার সাহায্য চান একা একা লড়াই করার চেয়ে দুজনের সম্মিলিত শক্তিতে লড়াই করা অনেক বেশি যুতসই পর্ন/হস্তমৈথুন আসক্তি কাটানোর ক্ষেত্রে আপনি প্রায়৫০ শতাংশ সফল হবেন, যদি এই কাজটি করতে পারেনইন শা আল্লাহ্‌ তবে, বিপরীত লিঙ্গের গাইরে মাহরাম কারও কাছে আবার সাহায্যেরজন্য যাবেন না হিতে বিপরীত হবে
.
আপনার সব পর্ন ভিডিও একেবারে শিফট ডিলিটদিতে হবে মন চাইলেই যেন ইন্টারনেটেগিয়ে পর্ন ভিডিও দেখতে না পারেন সে জন্য পর্ন সাইটব্লক করে রাখতে হবে এ জন্য বিভিন্ন অ্যাপস এবং সফটওয়্যার আছে “বিষে বিষক্ষয়” শিরোনামের লেখায়  বিস্তারিতআলোচনা এসেছে আপনার সেই বিশ্বস্ত বন্ধুর সহায়তায় এই অ্যাপস বা সফটওয়্যারগুলো ইন্সটলকরে নিন শুধু আপনার বন্ধু পাসওয়ার্ড জানবেন, আপনি জানবেন নাএ কারণে চাইলেও আপনি আর পর্ন দেখতেপারবেন না আপনার ডিভাইসগুলো ব্যবহার করে এবার টার্গেট সেট করার পালা আপনি যদি প্রতিদিন হস্তমৈথুন করেন, পর্ন দেখেন, তাহলে নিজেকে টার্গেট দিন, এখন থেকেআগামী দিন আমিহস্তমৈথুন করব না, পর্ন দেখব না/চটিগল্প পড়ব নাটার্গেটপূরণ করতে না পারলেও সমস্যা নেই আবার তিন দিনের টার্গেট সেট করুন এই টার্গেট পূরণ করতেপারলে নতুন টার্গেট ঠিক করুন, আমি আগামী দিন হস্তমৈথুনকরব না, পর্ন দেখব না/চটিগল্প পড়ব নাএটা পূরণ করতে পারলে আবার নতুন টার্গেট ঠিক করুন আমি আগামী ১৪ দিন হস্তমৈথুনকরব না... এভাবে চালিয়ে যেতে থাকুন আর হ্যাঁ, প্রতিবার টার্গেট পূরণ করারপর নিজেকে পুরস্কার দিতে ভুলবেন না
.
পর্ন ভিডিও দেখার পর বা হস্তমৈথুনকরার পরের অনুভূতি আপনি যে কাগজের টুকরোতে লিখেছিলেন প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকেউঠে একবার সে কাগজে চোখ বুলাবেন পর্ন ভিডিও দেখার জন্য বা হস্তমৈথুন করার জন্যমন আঁকুপাঁকু করলে দৌড়ে গোপন জায়গা থেকে বের করে আনুন ওই কাগজগুলো মনোযোগ দিয়ে, চিন্তা করে পড়ুন আপনিএখন খুবই ক্রিটিকাল অবস্থায় আছেন এখন যদি আপনি আপনার প্রবৃত্তির কাছে হেরে যান, তাহলে অবস্থা খুবই খারাপ হবে অধিকাংশ মানুষই বোঝে পর্ন দেখা খারাপ, হস্তমৈথুন করা ক্ষতিকরকিন্তু ভেতর থেকে যখন পর্ন দেখার নেশা ওঠে তখন সে কিছুক্ষণ নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে, না আমি ওসব দেখব না... কিন্তু যুদ্ধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না সে আত্মসমর্পণ করে তারপ্রবৃত্তির কাছে আপনার সকল ইচ্ছাশক্তি এক করে লড়াই করুন প্রবৃত্তির সাথে
.
আর আল্লাহ্‌কে ডাকতে থাকুন অনবরত বার বার মনে করতেথাকুন আসক্তি কীভাবে আপনাকে বঞ্চিত করেছে জীবন উপভোগ করা থেকে! কী ভয়ঙ্কর ক্ষতি করেছে আপনার! আপনার জন্য কীকরুণ পরিণতি অপেক্ষা করে আছে! জায়গা পরিবর্তন করুন, শুয়ে থাকলে উঠে বসুন। বসে থাকলে ঘর থেকে বেরহয়ে যানএমন কোথাও যান যেখানে আলো আছে, মানুষ আছে, যেখানে উষ্ণতা আছে ভিযুয়ালাইয করার চেষ্টা করুন, বিষধর এক সাপ আপনাকেআষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে দংশন করছে নিজের সমগ্র সত্তা দিয়ে লড়াই করুন
.
প্রত্যেক সপ্তাহ বা দুসপ্তাহ অন্তর সেই ডায়েরিনিয়ে বসুন তারপর কয়েকদিনের মধ্যে আপনার পুরো অবস্থাররিপোর্ট লিখে ফেলুন এভাবে দু-এক মাস কাটানোর পর ডায়েরিতে লেখা আগেরবছরগুলোতে হস্তমৈথুন করার হার, পর্ন ভিডিও দেখার পেছনে ব্যয় করা সময়ের সাথে বর্তমান অবস্থার তুলনা করুন ইন শা আল্লাহ্‌ দেখবেন বেশ পার্থক্য এসেছে হস্তমৈথুন করার রেট বা পর্ন ভিডিওদেখার সময় অনেকটাই কমে এসেছে—আল্লাহ্‌ (সুবঃ) চাইলে হয়তো একেবারেই কমে গেছে দেড়-দু মাস যাবার পরও যদি আপনার অবস্থার উন্নতি না হয়, তাহলে সেটা চিন্তার বিষয় হয়তোআপনার নিয়্যতের মধ্যে ঘাপলা আছে অথবা আপনি হয়তো ঠিকমতো ফোকাস ধরে রাখতে পারছেন না বা আল্লাহ্‌র (সুবঃ) ওপর ঠিকভরসা করতে পারছেন না আমাদের দেখানো পদ্ধতিটা আবার প্রথমথেকে প্রয়োগ করা শুরু করুন আরেকটু বেশি ফোকাসড হয়ে
.
চোখের হেফাযতের ব্যাপারে যত্নবান হোন, সপ্তাহের দুদিন(সোমবার বৃহস্পতিবার) রোযারাখুন, প্রচুর পরিমাণ দান-সাদকাহ করুন কাজকরবেই করবে ইন শা আল্লাহ্‌