Sunday, April 16, 2017

নীল রঙের অন্ধকার (অষ্টম কিস্তি)

বিসমিল্লাহির রহমানীর রহীম।

আসসালামু আলাইকুম ভাই,
আল্লাহ্‌ আপনাদের কাজে বারাকাহ দিক । আমার নাম আবু সাব্বির (ছদ্মনাম) আমি ১৯ বছরের এক তরুণ। থাকি শান্তিনগরে (ছদ্ম ঠিকানা) পর্ন এবং মাস্টারবেশন আসক্তি আমার জীবনকে বিষিয়ে দিয়েছে।

সপ্তাহ দুয়েক আগে আমি আপনাদের ফেসবুক পেইজ (
www.facebook.com/lostmodesty ) খুঁজে পাই । তখনই বেশ কিছু লিখা পড়ে ফেলি। অনেকেই পর্নআসক্তির বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রামের কথা শেয়ার করেছেন। আমার জন্য তাঁদের লড়াইয়ের কাহিনীগুলো ছিল খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক। অনেক দিন ধরেই আমি চেষ্টা করছি এই আসক্তি কাটিয়ে ওঠার,কিন্তু  কেন জানি পারছিনা। আমি হতাশ,ক্লান্ত, নিঃস্ব ,রিক্ত । দয়া করে আমাকে একটু সাহায্য করুন। আমার কাহিনী অন্যদের চেয়ে একটু আলাদা। সময় নিয়ে পড়বেন আশা করি। 
  
শুরু করি তাহলে? তখন আমার বয়স ছিল পাঁচ বছর একটা ফ্ল্যাটে আরো দুইটা পরিবারের সঙ্গে আমরা ভাড়া থাকতাম ঐ ফ্ল্যাটে  তিনটা রুম থাকলেও টয়লেট ছিল কেবল একটা। আমাদের রুমের বামের রুমে যেই পরিবার থাকতো,তাঁদের ক্লাস সিক্স পড়ুয়া এক ছেলে ছিল। আমরা একসঙ্গে খেলাধুলা করতাম,মাঝে মাঝে তার কাছে পড়া বুঝতে যেতাম। সে আমার বড় ভাইয়ের মতো ছিল
 হুট করে সে আমার সঙ্গে অদ্ভুত আচরণ করা শুরু করলো  আমার সামনেই পোশাক পাল্টাতো,আমার শরীরের এখানে সেখানে বাজেভাবে স্পর্শ করতো। আমি তার এরকম অদ্ভুত আচরণের কোন ব্যাখ্যা খুঁজে পেতাম না। সে আমার স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে হাত বুলাতো এবং মাস্টারবেট (এটা আমি অনেক পরে বুঝেছিলাম) করতো । সে বলতো,‘দেখ তুই আমার আদরের ছোট ভাই। এইসব কথা কাউকে বলবি না’।
কয়েকদিনের ভেতরেই সে আমাকে শিখিয়ে দিল কীভাবে মাস্টারবেট করতে হয়। যখন আমাদের বাবা মা কেউই বাসায় থাকতো না, তখন সে আমার এখানে সেখানে হাত বুলিয়ে মাস্টারবেট করতো। আমি ভাবতাম এটা বোধহয় মজার একটা খেলা, বাবা মা বাসায় না থাকলে এটা খেলতে হয়।

আমি সেই সময় ছিলাম একেবারেই বাচ্চা। তেমন কিছুই বুঝতাম না। দেখতাম সে মাস্টারবেট করার কিছুক্ষণ পরে স্নানঘরে যেয়ে গোসল করে নিচ্ছেএকবছর ধরে এমনটা চললো। তারপর ওরা বাসা বদলে চলে গেল অন্য জায়গায়।
কিন্তু এর মধ্যে যা ক্ষতি হবার হয়ে গিয়েছে। তাকে ছাড়াই আমি মাস্টারবেট করা শিখে গিয়েছি ততোদিনে। মাসে অন্তত দুইবার মাস্টারবেট করতাম। কোন ধারনাই ছিলনা আমি কি করছি,কিন্তু এটা আমাকে আনন্দ দিত প্রচুর।

 দশ বছর বয়সে ঘটলো এক অদ্ভুত ঘটনা। ততোদিনে আমি পুরোদস্তর মাস্টারবেশনে আসক্ত একজন। একদিন মাস্টারবেট করার পর দেখি আমার লজ্জাস্থান থেকে কি জানি বের হয়ে আসছে আমি ভয় পেয়ে গেলাম প্রচন্ড। সেই সময় মুখে ব্রণ উঠতে শুরু করলো। শরীর দুর্বল হয়ে গেল। পড়শোনায় মন দিতে সংগ্রাম করা লাগতো তখন
সেই সময় আমাদের দেশে মাল্টিমিডিয়া ফোন জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে কেবল। আমার কয়েকজন বন্ধুর mp4 প্লেয়ার ছিল। তাদের সঙ্গে আমি পর্ন দেখা শুরু করলাম। টিফিন পিরিয়ডে,ক্লাসের আগে, ক্লাসের পরে এমনকি ক্লাসে বসে বসেও আমি পর্ন দেখতাম। বন্ধুদের সঙ্গে মেয়ে নিয়ে সবসময়  রসালো আলোচনা করতাম। বয়স খুব বেশি না হলেও ততোদিনে আমি পরিণত হয়েছি দাঁতালো এক বুনো শুয়োরে।

নিজের মাল্টিমিডিয়া ফোন হাতে পেলাম  ১৪ বছর বয়সে। ইন্টারনেট তখন খুব একটা সহজলভ্য ছিলনা তারপরেও যতবেশি সম্ভব পর্ন ডাওনলোড দিতাম। স্কুলের রেজাল্ট খুব খারাপ হতে থাকলোমানসিক সমস্যা তো আগে থেকে ছিলই , বিভিন্ন দৈহিক সমস্যাও দেখা দিতে লাগলো। স্কুল বদলে অন্য স্কুলে গেলাম যেন পড়াশোনা আবার নতুন উদ্যোমে শুরু করতে পারি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলোনা। পড়াশোনা করব কি নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতেই পারলাম না! চুপচাপ থাকতাম সব সময়,কারো সঙ্গে তেমন একটা মিশতাম না। খেলাধুলার ধারে কাছেও যেতামনা , সত্যি বলতে কি এনার্জি পেতাম না খেলাধুলা করার। সবসময় হয়রান লাগতো। স্কুল পালাতাম। সপ্তাহে দুইবারের মতো পর্ন দেখতাম আর মাস্টারবেট করতাম। দুই বছর গেল এভাবেই।

১৬ বছর বয়সে যা হয়েছিল তা ভাবলে আমি আজো শিউরে উঠি। বাহিরের দুনিয়া সম্পর্কে আমার বাস্তব জ্ঞান তখন ছিল একেবারেই শুন্যের কোঠায়; ইন্টারনেট ঘেঁটে আবছা আবছা একটা ধারনা ছিল এই আরকি বেঁচে থাকা অসহ্য মনে হতো আমার কাছে। কোনকিছুই ঠিকমতো করতে পারতাম না। বাবামার সঙ্গে রাগারাগি করতাম। আমার না ছিল কোন ভাইবোন না ছিল কোন বন্ধু বান্ধব। আমার এই করুন অবস্থার জন্য কাউকে দায়ী করতে চাইতাম আমি। কিন্তু  কাকে দায়ী করব?
শেষমেশ কাউকে না পেয়ে  দায়ী করলাম আল্লাহ্‌কে! সব দোষ আল্লাহ্‌র! তিনি যদি আমাকে ঐ ছেলের সঙ্গে না মেশাতেন ছোটবেলায় তাহলে আমি পর্ন,মাস্টারবেশন কি জিনিস জানতামই না আর আমার জীবনটা এরকমও হতো না । আমি নাস্তিক ছিলাম না, কিন্তু আল্লাহ্‌কে দোষ দিতাম।

তারপর ভাবলাম যে,বখাটে ছেলেপেলেদের সঙ্গে মেলামেশা করি। তারা হয়তো আমার বন্ধু হবে আর আমি এই নরকতুল্য জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে ‘অস্থির’ একটা জীবন পাববখাটে ছেলেদের সঙ্গে মেশা শুরু করলাম, রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিড়ি ফোকা শুরু করলাম। গাঁজাটাই বা বাদ যাবে কেন ! গাঁজার কল্কিতেও দম দেয়া শুরু করলাম। মাঝে মধ্যে কড়া কিছু ড্রাগসও নিতাম। রাস্তায় রাস্তায়  রংবাজি করে বেড়াতাম  সারাদিন। 
 ভাবতাম এতদিনে বোধহয় আমার স্বপ্নের জীবনটা পেয়ে গেছি আমি, কিন্তু আমার পর্নআসক্তি গেলই না বরং আরো বাড়লো। ড্রাগস নিতাম তো শরীরে এনার্জি যেন টগবগ করে ফুটতো, প্রচুর পরিমাণ মাস্টারবেট করতাম। হাস্যকর একটা ব্যাপার ঘটলো এইসময়...

প্রেমে পড়লাম আমি! 

পর্ন দেখতাম আর ও’কে নিয়ে ফ্যাণ্টাসীতে ভুগতাম। কিন্তু আমি জানতাম কখনোই তাকে নিজের করে পাবো না আমি । কত পাগলামিই যে করেছি আমি তার জন্য! হাসি পায় এখন এসব মনে হলে। হাত কেটে রক্ত দিয়ে তার নাম লিখেছি,মারামারিতে জড়িয়েছি আরো কত কি! সে অনেক কথা!
একসময় মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেল । আমি ভেঙ্গে পড়লাম আরো বেশী বখাটে ছেলেপেলেদের সঙ্গে মেশাবন্ধ করলাম। বাসায় থাকতাম সবসময়। মাঝে মাঝে শুধু সিগারেট কিনতে বাহিরে যেতাম। পর্ন দেখার মাত্রা বেড়ে গেল আরো।

আলহামদুলিল্লাহ্‌! এই সময় আমি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে অল্পবিস্তর জানাশোনা শুরি করি। আমি জানলাম
  আমি যেগুলো করছি সেগুলো করা মারাত্মক ভুল। যে ভুল আমি করেছি তার মাশুল আমাকে সারাজীবন গুনতে হবে। অন্যান্য ধর্ম নিয়েও ইন্টারনেটে ঘাঁটাঘাঁটি করেছিলাম কিছুদিন। কিন্তু শেষমেশ বুঝলাম যা আমি খুঁজে বেড়াচ্ছি সেটা ইসলাম, অন্য কিছু না।
গাঁজা খাওয়াতো আগেই ছেড়েছি এবার সিগারেট খাওয়াও ছেড়ে দিলাম। বাসায় নামাজ পড়া শুরু করলাম। কিন্তু পর্ন আর মাস্টারবেশন আসক্তি ছাড়তে পারলামনা কিছুতেই। 

পুরোনো কাসুন্দি তো অনেক ঘাঁটাহল এবার বর্তমান অবস্থার কথা বলি...

আমি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত বাসায় পড়ার চেষ্টা করি। পড়াশোনা করিনা, বাবা মার সঙ্গে  থাকি। ভাইবোন নেই,নেই কোন বন্ধবান্ধব।একাকীত্বে ভুগি,আত্মবিশ্বাস তলানিতে। মানুষজনের সঙ্গে মিশতে পারি না। এমনকি বাসায় আত্মীয়স্বজন আসলে আমি পালিয়ে পালিয়ে বেড়াই। আমি মানসিক ভাবে অসুস্থ। পাগল বলতে পারেন একপ্রকার। নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলি প্রায়ই, মানুষজন আড়চোখে তাকায়। কিছু মনে থাকে না। তীব্র মাথা ব্যাথা হয়,ব্যাথায় মাথা যেন ছিড়ে যায়,মনে হয় মাথা কেটে ফেলে দেই। আমার  বয়স যদিও ১৯ বছর আমাকে দেখে মানুষ ভাবে আমার বয়স বোধহয় ত্রিশের কোঠায়। চুল পড়ে যাচ্ছে আর আমার যে ছোট ছোট কিছু দাঁড়ি আছে জানি না কি কারণে সেটা লাল হয়ে যাচ্ছে।
আমি খুব বেশী খাওয়া দাওয়া করিনা, কিন্তু আমি অনেক মোটা। ব্যায়াম ট্যায়াম যে করবো তাও হয়না, সবসময় এতো ক্লান্ত থাকি...

আমি জানি না কী করব। আমি এত অল্প বয়সে মাস্টারবেশনের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম যে আমার শরীর নিজে নিজেই রিঅ্যাক্ট করে। অর্থাৎ প্রায় প্রতি রাতেই মাস্টারবেট করি। এমনকি ট্রাউজার বেল্ট দিয়ে বেঁধে রাখলেও নিজেকে থামাতে পারি না। নিজের অজান্তেই পাপ করে ফেলি। ব্যাপারটা অদ্ভুত যে মাস্টারবেশনের পর পর্নোগ্রাফির দিকে ঝুঁকে পড়ি। অপরাধবোধ হয়, মনে হয় যে খোদা আমাকে ক্ষমা করবেন না, তারপর পর্ন দেখি। আমার একটি পিসি ও ফোন আছে। আমার কোন ডিভাইসেই পর্ন নেই, হতাশ লাগলে ওসবের সাইটে যাই। মাঝে মাঝে ওয়েব ব্রাউজ করার সময় নারীর ছবি দেখলে উত্তেজিত হয়ে যাই। ক্লিক না করে থাকতে পারি না।আমার আত্মীয়স্বজন বেড়াতে এসে তাদের সন্তানদের সাফল্য নিয়ে গর্ব করেনআমি আরো হতাশ হয়ে যাই,পুনরায় ফিরে যাই পাপের রাজ্যেআমার মা-বাবা আমাকে বকাঝকা করলে আমি হতাশ হয়ে পাপ করে ফেলি। সবভাবেই আমি ডুবে যাচ্ছি এক গভীর অন্ধকারে

একটা হাদিস আছে যেখানে বলা হয়েছে, হাশরের ময়দানে একদল মানুষ আল্লাহ্‌র সামনে পাহাড়সমান পুণ্য নিয়ে দাঁড়াবে, কিন্তু আল্লাহ্‌ সেই পুণ্যগুলোকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিবেন, কারণ এই মানুষগুলো একা থাকা অবস্থায় সব ধরণের সীমা অতিক্রম করেছিল ও আল্লাহ্‌কে অমান্য করেছিল। [রেফারেন্স লাগবে]

আমার নবী (সাঃ) আমাকে নিয়ে হাদিসে বলেছেন। আমি যখন একা থাকি, আমিও ওরকম কাজ করি।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ। দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন।

আরো পড়ুনঃ
নীল রঙের অন্ধকার (প্রথম কিস্তি): https://goo.gl/38nyqS
নীল রঙের অন্ধকার (দ্বিতীয় কিস্তি): http://bit.ly/2hz9Pqu
নীল রঙের অন্ধকার (তৃতীয় কিস্তি): http://bit.ly/2hwkT5K
নীল রঙের অন্ধকার (চতুর্থ কিস্তি): https://goo.gl/8cUK9B
নীল রঙের অন্ধকার (পঞ্চম কিস্তি): https://goo.gl/DFL62I
নীল রঙের অন্ধকার (ষষ্ঠ কিস্তি): https://goo.gl/0ffWi6
নীল রঙের অন্ধকার (সপ্তম কিস্তি):https://goo.gl/s366A1
পর্ন জীবনের স্বাদ নষ্টকারী: https://goo.gl/doMrt0
আত্মোপলব্ধিঃ
 http://bit.ly/2ibGm4Z



Saturday, April 15, 2017

নীল রঙের অন্ধকার (সপ্তম কিস্তি)


বিসমিল্লাহির রহমানীর রহীম। 
অনেকে FTND (http://fightthenewdrug.org ) তে নিজেদের জীবনের ব্যক্তিগত ঘটনার কথা বলেন কীভাবে তাদের ও তাদের সঙ্গীর জীবনে পর্ন প্রভাব ফেলেছে। আমরা এসব ঘটনাবলি খুবই গুরুত্বের সাথে নিয়ে থাকি। পর্নোগ্রাফির অপকারিতা সম্পর্কে বিজ্ঞান ও গবেষনা নিয়তই কাজ করে যাচ্ছে, সেই সাথে কারো জীবনের সত্যি কাহিনী আমাদের সামনে আসলে তা জীবন্ত হয়ে তুলে ধরে পর্নোগ্রাফি বাস্তব জীবনে কী ক্ষতি করছে।

আমরা সম্প্রতি একজনের চিঠি পেয়েছি যিনি পর্ন থেকে অবাস্তব যৌনাচরণ শিখতে চেষ্টা করার কুফল ভোগ করেছেন। পর্নে যা দেখতে মজার ও আনন্দদায়ক লাগে তা বাস্তব জীবনে নীচ ও অস্বস্তিকর। আবার এটাই প্রচুর মানুষের কাছে যৌনশিক্ষার একমাত্র মাধ্যম। এরকম অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে পর্ন কীভাবে ভুল যৌনশিক্ষা দেয়, যা সংগীর সাথে সম্পর্কে খারাপ প্রভাব ফেলে যৌনজীবনের ক্ষতি করে।
......
প্রিয় এডিটর,
আমার বয়স ২৪ বছর, কেনিয়ার অধিবাসী। আমি ১৫ বছর বয়সে ম্যাগাজিনে পর্ন বিষয়ে পড়তে শুরু করেছিলাম। কারন সে সময়ে আমার তখনও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ ছিল না। আমি খুব চটপটে ও এ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় এবং নতুন কিছু শিখতে ভালবাসি। তাই আমার সামনে কোনকিছু আসলে তা না পড়ে থাকতে পারতাম না। এভাবেই পর্নোগ্রাফির সাথে ম্যাগাজিন থেকে আমার পরিচয়।
পরবর্তীতে যখন ইন্টারনেট ব্যবহারের সু্যোগ পেলাম, শুরুতেই জানতাম কি খুঁজতে হবে। তখন থেকেই পর্ন দেখা শুরু করলাম ও পর্নের মেয়েদেরকে নিজের সাথে কল্পনা করতে লাগলাম। সত্যি বলতে, পর্নের এই অভ্যাসটা আমার কাছে ভালই মনে হত কারন পর্নের মেয়েদের শুধু পর্দায় দেখতে পেতাম আর তাদেরকে কল্পনা করতে পারতাম বাস্তবে দেখা না করেই বা না শুয়েই। শুরুর দিকে মাত্রাটা বেশি না থাকলেও কিছুদিন পর আমার নিয়মিত পর্ন দেখার অভ্যাস নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেল।



আমি সব সময়ই বিশ্বাস করেছিলাম পর্ন দেখা এবং এর কলাকুশলীদের নিয়ে গবেষনা করা ভবিষ্যতে আমাকে সংগিনীর জন্য মস্ত ভাল প্রেমিক করে তুলবে, আরো আকর্ষনীয় করে তুলবে এবং গার্লফ্রেন্ড পেতে সাহায্য করবে। এর একটিও সত্য হয় নি যদিও। যেমন, পর্ন থেকে পাওয়া টিপস আমাকে বিছানাতে একেবারে বাজে করে ফেললো। বস্তুত আমার অবস্থা এতই বাজে হয়ে গেল যে, আমি শুধু পর্নের মাধ্যমেই উত্তেজিত হতাম, গার্লফ্রেন্ডের দ্বারা না। আমি আর কোন কিছুকে পাত্তা দিতাম না, সারাক্ষন পর্ন দেখতাম, প্রায় সবখানেই, এমনকী জনবহুল জায়গাতেও। এটা হয়ে দাঁড়াল একটা বড় সমস্যা

আসলেই পর্ন এক কঠিন নেশা। এটা অস্বস্তিকর এবং এর ফলাফল সর্বনাশা। একবার আমার এক প্রাক্তন বান্ধবী প্রচণ্ড ভেঙ্গে পড়ে প্রশ্ন করেছিল, “তুমি কেন শুধু পর্দার ঐ নড়াচড়া করা দৃশ্যগুলোর জন্য আমাকে ধোঁকা দিচ্ছ?” সে ভীষণ কষ্ট পেয়েছিল, কিন্তু আমি ছিলাম আসক্ত। সে আমাকে এটা ছেড়ে দিতে বলার পরেও যখন পারলাম না, আমাদের সম্পর্কটা ভেঙ্গে গেল। আমি হতাশ হয়ে পড়লাম।

মজার ব্যপার হল, একটা ধারণা আছে যে, আপনি চাইলেই যেকোনো সময় পর্ন দেখা ছেড়ে দিতে পারবেন এবং এটা কোন কঠিন বিষয় নয়- কিন্তু এটা সত্যি না। আপনি যত দেখবেন, তত আরো বেশি চাইবেন। সত্যিই পর্ন সম্পর্কে আগে যা যা বিশ্বাস করতাম এর সবই মিথ্যা। পর্ন আমাকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে নি, ভাল প্রেমিক করে তোলে নি, আমার সম্পর্ককে ভাল করে টিকিয়ে রাখে নি। পর্ন থেকে আমি যা পেয়েছিলাম তা হল বিফলে যাওয়া সময়, গ্লানি এবং যৌনজীবন সম্পর্কে ভুল মন্ত্রণা। আরো খারাপ বিষয় হল, পর্ন সবখানে ছড়িয়ে থাকে। এমনকী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও। তাই আমি এ থেকে পালাতে পারতাম না।

কেন আমি পর্ন দেখা বন্ধ করার ও এর বিরুদ্ধে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিলাম? গত মাসের শেষ দিকে আমার বান্ধবী সিদ্ধান্ত নিল আমাদের সম্পর্কের ইতি টানারএতগুলো ব্যর্থ চেষ্টার পর আর তাকে বোঝাতে পারি নি যে আমি বদলাতে পারব। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম যখন সে বলেছিল, “পর্ন তোমাকে কেবল একটা অপদার্থ করে ফেলবে। বিদায়।” ভীষণ হতাশ হলাম কারন সে ছিল আমার তৃতীয় বান্ধবী যে এই কথাটি বললো। এবং জানেন, আমি এর কোন পাল্টা যুক্তি দেখাতে পারি নি।
সত্যি কথা হল, পর্ন স্বাস্থ্যকর নয়, উপকারী নয়। আমি সেরে উঠতে চাই নিজের কারনে ও আমার ভবিষ্যতের সম্পর্কগুলোর কারনে।

আশা করি আমার কথাগুলো যে পর্ন দেখা বন্ধ করতে চাইছে এমন কাউকে অনুপ্রেরণা দেবে। কারণ এ থেকে ভাল কিছুই আসে না। সত্যিই, পর্ন ভালবাসাকে মেরে ফেলে। FTND  কে ধন্যবাদ ভাল কাজের জন্য।

.........
পর্ন যদিও সীমাহীন যৌনাচার দিয়ে ভরা এক অবাস্তব জগতের আশা দেখায়, বিজ্ঞান প্রতিনিয়তই প্রমান করে যাচ্ছে বাস্তবটা আসলে ঠিক এর বিপরীত। তাছাড়া, পর্নের কারনে বিপুল সংখ্যক পুরুষ দর্শক অপূর্ণ যৌনচাহিদার সমস্যায় ভুগছে। যার মাধ্যমে স্পষ্টতই বোঝা যায়, তারা শুধুমাত্র পর্নের প্রভাবে তাদের ইরেক্টাইল ডিসফাংশন এর জন্য বাস্তব যৌনক্রিয়ায় আর সক্রিয় থাকতে পারছে না বিছানায় ভাল প্রেমিক হবার কথা ভুলেই যান, যেখানে পর্ন আপনাকে একেবারে যৌন নিষ্ক্রিয় দশায় নিয়ে যাচ্ছে

পর্ন থেকে যৌনশিক্ষা গ্রহণ করা এবং এ্যাকশন মুভিতে গাড়ি নিয়ে ধাওয়া করার দৃশ্য দেখে গাড়ি চালানো শেখা একই কথা। এখানে সবই অত্যন্ত অবাস্তব, অতিরঞ্জিত এবং একেবারেই বাস্তব জীবনের কাছাকাছি না। পর্ন এক প্রকার ফাঁকি, একারনে এটি পারস্পরিক সম্পর্কের মাঝে অবাস্তব চাহিদা তৈরি করে এবং ভালবাসা ও ঘনিষ্ঠতার মাঝে বিকৃত আচরণ ঢুকিয়ে দেয়।

সমাজকে বুঝতে হবে যে, বাস্তব সংস্রবই পারে মানুষকে সত্যিকারের যৌনতৃপ্তি দিতে। আপনি যতই পর্ন দেখুন না কেন, দিন শেষে রক্তমাংসের মানুষের সাথে মেশার কামনাই করবেন। সমাজ এখন প্রযুক্তির সাথে যৌনক্রিয়া চর্চার ভয়ংকর পথে যাত্রা করছে। পর্ন দেখার অভ্যাসকে স্বাভাবিক বলে ধরে নিলে আমরা এমন একটা অবস্থায় গিয়ে পৌঁছাব যেখানে বাস্তব সম্পর্কগুলোর জায়গা পর্ন দখল করে নেবে...
চলবে ইনশা আল্লাহ্‌

(লস্ট মডেস্টি অনুবাদ টিম কর্তৃক অনূদিত)
রেফারেন্সঃ https://goo.gl/xJp2Uw

 আগের পর্ব গুলোঃ
নীল রঙের অন্ধকার (প্রথম কিস্তি): https://goo.gl/38nyqS
নীল রঙের অন্ধকার (দ্বিতীয় কিস্তি): http://bit.ly/2hz9Pqu
নীল রঙের অন্ধকার (তৃতীয় কিস্তি): http://bit.ly/2hwkT5K
নীল রঙের অন্ধকার (চতুর্থ কিস্তি): https://goo.gl/8cUK9B
নীল রঙের অন্ধকার (পঞ্চম কিস্তি): https://goo.gl/DFL62I
নীল রঙের অন্ধকার (ষষ্ঠ কিস্তি): https://goo.gl/0ffWi6  
পর্ণঃ জীবনের স্বাদ নষ্টকারী: https://goo.gl/doMrt0
আত্মোপলব্ধিঃ http://bit.ly/2ibGm4Z

আরো পড়ুনঃ
১০৮ টি নীলপদ্ম - http://bit.ly/2h6vHbM

পর্ণঃ পুরুষের যৌবনশক্তি বিনাশকারী- http://bit.ly/2h6mYX9

Saturday, April 8, 2017

‘তবু হেমন্ত এলে অবসর পাওয়া যাবে.... (তৃতীয় পর্ব)’


বিসমিল্লাহির রহমানীর রহীম।

...অনেক দিন পর ফুল পিচ ক্রিকেটে খেলা হল । শরীর প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল । 
বিছানায় গা এলানো মাত্র গভীর ঘুমে । সকালে ঘুম থেকে যখন উঠলাম তখন শরীর এক্কেবারে ঝরঝরে ।

পর্নআসক্তি বা মাস্টারবেশন আসক্তি  নিয়ে যারা ঝামেলায় আছেন তাদের উচিত অবসর পেলেই নিয়মিত খেলাধুলা করা বা শারীরিক পরিশ্রম করা ।  সারাদিন ব্র্য়লার মুরগীর মতো রুমে বসে বসে ফিফা , কাউন্টার স্ট্রাইক বা কক খেলে লাভ নেই ;  আসল পুরুষের মতো আসল খেলা খেলুন -   ক্রিকেট খেলুন , ফুটবল খেলুন (এটা বেশি কাজের )।

ঢাকা শহরের মুরগীর কুঠিতে থাকেন
? খেলার জায়গা নেই ?
...ফুটপাতে জগিং করুন, লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ভাঙ্গুন , রিকশায় চড়া কমিয়ে দিয়ে হাঁটুন, পুশ আপ দিন – দশটা করে শুরু করুন , এক দিন পর পর পুশ আপের পরিমাণ তিনটা করে বাড়াতে  থাকুন – ১০- ১৩-১৬ এভাবে 
সুযোগ থাকলে মাঝে মাঝে পুলে যেয়ে সাঁতার কাটুন,অফিসে,ক্লাসে বা টিউশানিতে সাইকেল চালিয়ে যান । মোদ্দা কথা হল যত বেশি সম্ভব ঘাম ঝরান ।
আপনার বয়সটাই এমন যে শরীরে এখন হেব্বি এনার্জি । এত্ত এনার্জি যে কিছু এনার্জি রিলিজ না করলে ঠিক স্বস্তি পাওয়া যায় না, শরীরটা কেমন কেমন জানি করে । হালাল পথে এই এনার্জি রিলিজ না  করলে ইবলিশ ব্যাটা তো রয়েছেই আপনাকে হারাম পথ গুলো বাতলে দেওয়ার জন্য । তার পাল্লায় পড়ে দেখা যাবে রিলিভ পাওয়ার জন্য আপনি মাস্টারবেট করা শুরু করেছেন আর মাস্টারবেট করার আগে পর্নমুভি দেখছেন ;হোক সেটা সফটকোর বা হার্ডকোর বা আইটেম সং ।  তাই খেলাধুলা করুন , এক্সারসাইজ করুন হালাল পথে এনার্জি রিলিজ করুন। 
শারীরিক পরিশ্রম করলে বা খেলাধুলা করলে খুব সলিড ঘুম হবে ইনশা আল্লাহ, শরীর মন দুটোই চাঙ্গা থাকবে । ঘুমানোর আগে যে “উলটা পালটা” চিন্তা ভাবনা মাথায় আসে সেগুলো থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে ইনশা আল্লাহ ।




 রাসূল (সাঃ) এর একটা সুন্নাহও আদায় হয়ে যাবে  ইনশা আল্লাহ এক্সারসাইজ করলে । মুহাম্মদ (সাঃ) নিজে নিয়মিত ব্যায়াম করতেন। এছাড়া তিনি নির্দোষ খেলাধুলা, ঘোড়দৌঁড়, কুস্তি ও তীর নিক্ষেপ চর্চার জন্য অন্যদেরকে উপদেশ দিতেন। তিনি বলেছেন, পিতার ওপর সন্তানের অধিকারহলো হলো, পিতা সন্তানকে  সাঁতার ও তীর-চালনা শেখাবে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
 দূর্বল  মু’মিনের চেয়ে শক্তিশালী আল্লাহর  কাছে মু’মিন অনেক উত্তম ও অধিক প্রিয়, সবার মধ্যেই কল্যান রয়েছে•••”। (সহীহ্ মুসলিম, কিতাবুল ক্বাদর)
তো এক্সারসাইজ , খেলাধুলা করে  হয়ে উঠুন শক্তিশালী , মেদ ভুঁড়ি কমিয়ে হয়ে উঠুন ফিট , বিয়ের বাজারে নিজের মুল্য বাড়ান আর তুড়ি মেরে  উড়িয়ে দিন  বেয়াড়া পর্ন/মাস্টারবেশন আসক্তি      
জীবন নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই আমাদের । এটা পাইনি,ওটা পাইনি। অবসরে, বিশেষ করে একাকী থাকলে এক এক করে মনে পড়ে জীবনের সব হিসেব না মেলা ঘটনাগুলোর কথা । অজান্তেই বিষন্নতা আর হতাশা গ্রাস করে । হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হয় । অনেকসময় এই অপ্রয়োজনীয় দুঃখ বিলাস খুলে দেয় পর্ন আসক্তির দুয়ার ।

খুব বেশি বয়স হয়নি আমার । কিন্তু এরমধ্যেই দুইবার ঘুরে আসতে হয়েছে হাসপাতাল থেকে । পড়তে হয়েছে সার্জনের ছুরির নিচে । সহ্য করতে হয়েছে অবর্ণনীয় যন্ত্রণা। বিছানায় শুয়ে বসে থাকতে হয়েছে দেড় দুই মাস। বারবার অনুভব করেছি তখন
, সুস্থতা আল্লাহ্‌’র(সুবঃ) কি বিশাল নেয়ামত।  আপনি হেঁটে বেড়াতে পারেন , ইচ্ছে হলে যেখানে খুশি যেতে পারেন, চোখ দিয়ে দেখতে পান , কান দিয়ে শুনতে পান -আপনি ডুবে আছেন নিয়ামতের এক মহাসমুদ্রে। তারপরেও কেন এত দুঃখ বিলাস ?
বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে অবসরে মাঝে মাঝে হাসপাতালে যান । জীবনকে দেখতে পাবেন এক আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। কত নানা রকমের রোগী!  কেউ চোখে দেখতে পায়না , কারো পা কেটে ফেলতে হয়েছে, কেউ শ্বেতশুভ্র বিছানায় শুয়ে শুয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে ওপারে যাবার। 

স্পিরিট
,ন্যাপথালিন,স্যাভলন,ওষুধের কড়া গন্ধ,নার্সদের ছোটাছুটি, বসতবাড়ির জমিটুকুও বিক্রী করে গ্রাম থেকে আসা রোগীর স্বজনদের শূন্য চাহনি, অন্যরকম  নিষ্ঠুর,নির্দয় এক জগত । ঘুরে আসুন হাসপাতাল থেকে । মন নরম হবে, জীবনে অল্পে তুষ্ট হওয়া শেখা যাবে, আল্লাহ্‌’র (সুবঃ) প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া শেখা যাবে, মৃত্যুভীতি জাগবে; পর্ন/মাস্টারবেশন আসক্তি কাটানোর জন্য যেটা খুবই দরকারী ।
রোগী দেখতে যাওয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর  সুন্নাহ । অনেক হাদীসে রোগী দেখতে যাওয়াকে উৎসাহিত করা হয়েছে ।

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
, কোন মুসলমান যদি অন্য মুসলমান রোগীর সেবা শুশ্রষা বা খোঁজখবর নেওয়ার জন্য সকালে যায়, তাহলে সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদিন তার জন্য সত্তর হাজার ফেরেশতা দোয়া করতে থাকে। আর যদি সন্ধ্যায় যায়, তাহলে সারারাত সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করতে থাকে। (তিরমিযী শরীফ, আবু দাউদ শরীফ)

 বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এতিমখানা বা বৃদ্ধাশ্রম থেকে । পর্ন/মাস্টারবেশন আসক্তি কাটানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে এগুলোও ।
মাঝেমধ্যে কবরস্থানে যাওয়া নিশ্চিতভাবেই এমন অভিজ্ঞতা যা অহংকারকে নিঃশেষ করে দেয়,অন্তরে আল্লাহ্ভীতি জাগায়। যদি কিছুদিনের মধ্যে না গিয়ে থাকেন, তাহলে স্থায়ী বাসিন্দা হবার আগে একবার দর্শনার্থী হিসেবে ঘুরে আসুন।

কবরস্থানে গিয়ে আপনার প্রিয় মানুষদের কবরের পাশে দাঁড়ান। সেই সময়গুলোর কথা স্মরণ করুন যখন তারা ছিলেন সুস্থ-সবল। অবস্থান করছিলেন জীবিতদের মাঝেই। সেই কবরবাসীদের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করুন। কল্পনা করুন আপনি কবরে শায়িত,কল্পনা করুন একবার , দুনিয়ায় থাকতে পর্ন মাস্টারবেশনে যে ক্ষনিকের মজা নিয়েছিলেন এখন তার প্রতিদান দেওয়া হচ্ছে, আপনার কবরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে,আপনার পরিধানে জাহান্নাম থেকে আনা আগুনের পোশাক

অবসরে ঘুরে আসুন গোরস্থান থেকে। আল্লাহর কাছে কবরবাসীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং তাদের উপর রহমত বর্ষণের আকুল আবেদন জানান। দুয়া করুন যেন আল্লাহ তাদের কবরসমূহকে প্রশস্ত করে দেন ও আলো দ্বারা উদ্ভাসিত করে দেন। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানান যেন আপনি নিজে যখন তাদের মাঝে অবস্থান করবেন তখন আপনার উপরও রহম করা হয়।
 []

চলবে ইনশা আল্লাহ্‌ ……

পড়ুন বাকি পর্ব গুলোঃ 
তবু হেমন্ত এলে অবসর পাওয়া যাবে(প্রথম পর্ব) - https://goo.gl/t8l1mO 
তবু হেমন্ত এলে অবসর পাওয়া যাবে(দ্বিতীয় পর্ব) -  http://bit.ly/2oNbHPs 

[]  শায়খ ইউনুস কাথরাদার বাংলা ফেইসবুক পেইজ থেকে এই লিখাটির অধিকাংশ নেওয়া হয়েছে। মূল লিখার লিংক - http://bit.ly/2oiTvfq