Thursday, March 30, 2017

নীল রঙের অন্ধকার (ষষ্ঠ কিস্তি)

আমি সুমন(ছদ্মনাম),বয়স ১৯ বছর।
একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। আমার জন্ম গ্রামের একটি ছোট পরিবারে।
আজ আমি আমার জীবনের ছয়টি বছরের কিছু গোপন কথা আপনাদেরকে বলব।

আমি তখন ক্লাস সিক্সে পড়ি। সেই সময়টাতে আমাদের গ্রামে ভিসিডি ভাড়ায় আনা হতো এবং প্রায় সব বয়সের মানুষজন দেখতো। তখন বাংলা মুভিগুলোই দেখানো হতো। ভিসিডি আনা নেয়ার কাজটি যারা করতো একটা সময় তাদের সাথে আমার ভালো একটা সম্পর্ক হয়ে যায়।

সে বছর বৈশাখী মেলার দিন কয়েকজন বন্ধু মিলে মুভি দেখছি, তখন রাত প্রায় ১টা। একজন একটা মুভি চালালো যেটা ছিলো পর্নমুভি। আমি অবশ্য দেখতে চাইছিলাম না। সেইদিনই প্রথম পর্নমুভির সঙ্গে আমার পরিচয়।

এর মধ্যে আর কোন দিন পর্ন দেখিনি। তবে যখন ক্লাস সিক্সের শেষের দিকে- হঠাৎ একদিন রাতে দাদা সম্পর্কের একজনের সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয় (সেই সময়টাতে অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে আমার স্পষ্ট কোন ধারণা ছিলো না)। তো ওই ব্যক্তির সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হচ্ছিল । একটা সময় দেখলাম উনি সেক্স রিলেটিড কথা বেশি বলছেন। আমি উনাকে অনেক সম্মান করতাম তাই পুরোটা সময় তার বিভিন্ন কথা শুনে গেলাম। ওইদিন রাতের কিছু কিছু কথা আমার মনে কৌতুহলের জন্ম দিয়েছিল। যাইহোক এভাবে আমার ক্লাস সিক্স শেষ হলো।

 ক্লাস সেভেনে ।
 পড়াশোনার চাপ অনেক, আমি পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত।এর মাঝে কয়েকজন বন্ধুর গ্রার্লফ্রেন্ড হয়। আমার  কিছু কিছু বিষয়ে জানার আগ্রহ বাড়তে থাকে । তখন যেগুলো জেনেছিলাম তার প্রায় সবই ছিল ভুল তথ্য ।যাইহোক,সেভেনের শেষ দিকে একটা মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক হয়ে যায়(যদিও এটা এই বয়সের জন্য নয়)। এর মাঝে আমি আরো ৪ বার ভিসিডিতে পর্নমুভি দেখি।

ক্লাস এইট।
পড়াশোনা আর আমার নতুন প্রেম,এই দুইটা নিয়েই আমার সময় কাটতো। অনেক ভালোই চলছিলো সম্পর্কটা আমার । আমি ওই মেয়েটার প্রতি  খুবই দুর্বল হয়ে যায় (এই বয়সের প্রেম জীবনে মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে, নিজের জীবন থেকেই আমি তা শিখেছি)। আমি একটা মাল্টিমিডিয়া ফোন নেই।মাঝে মাঝে মেমোরি কার্ডে পর্নমুভি এনে দেখতাম। ক্লাস এইটের শেষদিকে দুর্ভাগ্যবশত আমাদের ব্রেকআপ হয়ে যায়। ঠিক এর পর থেকেই আমার জীবন অন্যদিকে মোড় নেয়।



ক্লাস নাইন।
আমি একা হয়ে পড়ি, মনে বিষণ্ণতা। তখন একা থাকতে বেশি ভালো লাগতো।আস্তে আস্তে আমি সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। তখন মোবাইলে টানা দুইমাস পর্নমুভি দেখলাম। একদিন আমার এক বন্ধু  একটা লিংক দিলো, আমি মেগাবাইট কিনে সেখানে যাই এবং কিছু গল্প পড়ি।আসলে এগুলো ছিলো চটি গল্প, যা পরে বুঝতে পেরেছিলাম। তখন আমি সময় পেলেই মেগাবাইট কিনে বিভিন্ন সাইটে গিয়ে চটি গল্প পড়তাম। গল্পগুলো আমি অনেক উপভোগ করতাম তখন। স্বাভাবিক ভাবেই মাস্টারবেশনের একটা প্রভাব শুরু হয় আমার মধ্যে। ক্লাস নাইন শেষ হয় এভাবেই ।


ক্লাস টেন।

আমি দেখলাম মেয়েদের প্রতি আমার কোন বিশ্বাস বা ভালোবাসা অবশিষ্ট নেই, সব মেয়েকে মনে হয় প্রতারিণী (আসলে এটা আমি অনেক পরে বুঝতে পারি যে, প্রেমের সম্পর্ক নষ্ট হলে অনেকের কাছেই এমন মনে হয়)।

এই সময়টাতে আমি যৌনতার ব্যাপারে প্রচন্ড কৌতুহলী হয়ে উঠি।চটি গল্প বাদ দিয়ে আনলিমিটেড প্যাক কিনে পর্ন ডাউনলোড করতাম আর সেগুলো দেখতাম। তখন আমার স্বাস্থ্য  খারাপ হয়ে যেতে থাকে। তবুও আমি পর্ন দেখতে থাকি(আসলে পর্ন আর মাস্টারবেট, এই দুটোর মাঝে একটা সম্পর্ক সবসময় থাকে)। পর্ন না দেখলে তখন আর ভালো লাগতোনা। এমনও হয়েছে এসএসসি পরীক্ষার আগের রাতেও আমি পর্ন দেখে তারপর ঘুমিয়েছি। সুতরাং আপনারা বুঝতেই পারছেন তখন  কি  মারাত্মক পর্ন আসক্ত ছিলাম আমি। এমনও দিন গেছে আমি চার বারেরও বেশি পর্ন দেখেছি । এসএসসি পরীক্ষার পরের ফ্রি সময়টাতে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। এসএসসি রেজাল্ট ভয়াবহ রকমের খারাপ হয়।

 কলেজে ভর্তি হতে এলাম শহরে। তবে ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারিনা, স্যার ক্লাস করান আর আমি টেবিলের নিচে ফোন রেখে পর্ন ডাউনলোড করি। র্ফাস্ট ইয়ারের মাঝোমাঝি সময়ে আমি পিসি নিলাম। কম্পিউটারে এইচডি পর্ন দেখা শুরু হল। হয় দোকান থেকে টাকায় কিনে অথবা বন্ধুদের মোবাইল থেকে নিয়ে দেখি। কিছুদিন পর ব্রডব্র্যান্ড কানেকশন নেই- তখন অবস্থা আরো খারাপ হয়।কেননা অনলাইনে এইচডি পর্ন দেখা যায় যেকোন সময়।

 একটা সময় আমি দেখলাম আমার কিছু মনে থাকে না- অথচ নয় দশ বছর আগের কথা সব মনে থাকে।হাজারো সমস্যায় জীবন তেজপাতা। আমি এও বুঝতে পারছিলাম আমি তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছি, কিন্তু পর্ন ছাড়া থাকতে পারছিনা। রাত ২টা বা ৩টা পর্যন্তও আমি পর্ন দেখি। যেহেতু আমি একা রুমে থাকতাম তাই আমি না চাইলেও বার বার দেখতে মন চাইতো।

একদিন ফেসবুকে এই (http://bit.ly/2niIvdK ) নোটটি দেখতে পাই । তখন আমার মনে হল “আমি হয়তো ভুল পথে আছি” এবং এর কিছুদিন পর আমি আরো একটি স্টেটাস দেখতে পাই  পর্নোগ্রাফিঃ মানবতার জন্য হুমকি (https://www.facebook.com/lostmodesty/ ) নামের একটি পেজে। সেদিন থেকে আমার ভেতর অপরাধবোধ কাজ করতে থাকে।আমি অনেক চিন্তা করি, কি করা যায় ? কয়েকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। আমি দেখলাম আমার ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম “আর না” !!!!

[এই নোটটিতে(http://bit.ly/2niIvdK ) কিছু সমস্যা আছে। পর্ন/মাস্টারবেশন আসক্তি থেকে বাঁচার জন্য এখানে মেডিটেশান করার কথা বলা হয়েছে। মেডিটেশান করা শিরক। পড়ুন এই সিরিজের (http://www.quraneralo.com/quantam_1/ ) সব কয়টি লিখা- লস্ট মডেস্টি]


কিছু বিষয় নিয়ে অসংখ্যবার চিন্তা করেছি। পরে গুগলের সহায়তায় কিছু তথ্য পেলাম। একটা সময় নিজেকেই প্রশ্ন করলাম----


(ক) পর্ন/মাস্টারবেশনের এর সুফল কী ?
-আমি এর কোন ভালো দিক খুজে পাইনি। শুধু মনের অদৃশ্য শান্তনা।

(খ) পর্ন/মাস্টারবেশনের এর কুফল কী ?

-প্রথমে আমি দেখলাম এটা ব্রেইনের ক্ষতি করছে। আমার অনেক কিছুই মনে থাকেনা, মেজাজ  খিটখিটে থাকে সবসময়।
শারীরিক ভাবে ক্ষতি হয়, আগে আমার যেখানে একটা কাজ করতে ৫মিনিট লাগতো, সেটা করতে এখন ১০মিনিটের মত সময় লাগে। বিভিন্ন অসুস্থতা সবসময় লেগেই থাকে।

মেয়েদেরকে সবসময় ভোগ্যপণ্য মনে হয়। একজন মেয়ে মানুষকে দেখলেই মনে হয় এও হয়তো সেই ধরনেরই মেয়ে।

পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকেনা।
জীবনটা একঘেয়ে হয়ে যায়।
পড়াশোনা বা ক্যারিয়ার সব নষ্ট হয়ে যায়।
নারী নির্যাতনে উৎসাহিত করে……

 আমি এ থেকে বের হয়ে আসতে চাইলাম। কিন্তু পারলাম না।

প্রথমত এটা এমন এক নেশা, যেটা আমার কাছে মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে মনে হয়। মাছের ফাঁদে মাছে ঢুকতে পারে কিন্তু সেখানে থেকে বের হওয়া অনেক কঠিন। এমন হয়েছে কয়েকদিন দুরে থেকেছি আবার শুরু হয়েছে। আমি ৫০ এরও অধিক পদ্ধতি প্রয়োগ করেছি, কোন কোন সময় আমি সফল আবার  কোন কোন সময় ব্যর্থ হয়েছি।

মাঝে এমন হয়েছে, যখন দেখছি আর পারছিনা তখন তাবলীগ জামতে চলে গেছি তিনদিনের জন্য। তখন দেখা গেলো আমার ভেতর আল্লাহর প্রতি একটা ভয় কাজ করে এবং ওগুলো দেখতে মন চাচ্ছে না।

 এখন আমি এই কাজগুলো করছি-

১) কম্পিউটারে k-9 ওয়েব প্রটেকশন ইন্সটল করেছি, এবং এমন এক পাসওয়ার্ড যেটা আমিও যানিনা এবং পৃথিবীর কেউ যানে না।

k-9 এর ইউজার ইমেল(যে মেইল দিয়ে k9 রেজিঃ, ডাউনলোড, ইন্সটল করেছি) এর রিভারি অপশন বন্ধ করেদিয়েছি, অথাৎ এই মেইলের পাসওয়ার্ড হারিয়ে গেলে বা ভুলে গেলে এটা আর রিকভারি করা যাবে না।

মেইলের পাসওয়ার্ড ছোট কাগজে লিছে একটি কোরআন শরিফের ভিতরে রেখে দিয়েছি(যদিও এটা ঠিক হয়েছে কিনা জানিনা, তবে আমি পাপ থেকে মুক্তি পেতে এটা করেছি)।

ইউটিউবে অনেক স্কেন্ডাল বা পর্ন ছড়িয়ে থাকে, বিভিন্ন  মুভিগুতে বেডরুমের দৃশ্য থাকে, যেগুলো আমাকে পর্ন দেখতে প্ররোচিত করে। আর এই কারনে এখন আগামী সাত দিনের জন্য ইউটিউ k-9 এর মাধ্যমে ব্লক করে রেখেছি। যেন আগামী সাত দিন ইটিউব না দেখতে পারি(যদিও এটা অনেক কষ্টকর হবে)।

ফোনে যেন নেট ইউজ করতে না পারি সেই জন্য রাউটার বিক্রি করে দিয়েছি।

আমি অনেক অনেকবার দেখেছি কুরআন তেলাওয়াত বা নামাজ অথাৎ ধর্মীয় বিষয়গুলো মনকে সতেজ রাখে এবং কোন অপরাধ করার আগে বিবেক দ্বারা বাধা প্রাপ্ত হয়। এ কাজগুলো আমি আগে করতাম না। এখন করার চেষ্টা করি।

সবার সাথে কানেক্টেড থাকোর চিন্তা করছি।

এখন আমি শপথ করি আজকের পর আর না, কিন্তু ? কিন্তু দেখা গেলো কাল আবারো সেই একই কাজ করে ফেলি।আমার বড় সমস্যা হলো নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি আমি। আমি জানি এর কারাপ দিকগুলো কিন্তু ওই সময়টাতে আমার আর এইসব কথা মনে থাকে না।

…এখানে সংক্ষেপে কিছুটা লিখার চেষ্টা করেছি মাত্র । ভোর ৫টা বাজতে চললো প্রায় । প্রয়োজনে আমি আরো জানাতে পারবো। আমি চাই আমার মত কেউ যেন এমন না হয়। তরুণদেরকে সতর্ক করুন প্লিজ, আমার দেখা অনেক ছেলে তার জীবনকে নষ্ট করছে প্রতিনিয়তই। আমার জন্য দোয়া করবেন, আপনাদের জন্যও দোয়া রইলো। আমার পরিচয়টি গোপন রাখবেন।


 আরো পড়ুন –
নীল রঙের অন্ধকার (প্রথম কিস্তি): https://goo.gl/38nyqS
নীল রঙের অন্ধকার (দ্বিতীয় কিস্তি):   http://bit.ly/2hz9Pqu
নীল রঙের অন্ধকার (তৃতীয়  কিস্তি): http://bit.ly/2hwkT5K
নীল রঙের অন্ধকার (চতুর্থ কিস্তি): https://goo.gl/8cUK9B
নীল রঙের অন্ধকার (পঞ্চম কিস্তি): https://goo.gl/DFL62I
পর্ণঃ জীবনের স্বাদ নষ্টকারী: https://goo.gl/doMrt0
আত্মোপলব্ধিঃ  http://bit.ly/2ibGm4Z
k-9  ইন্সটল করার টিউটোরিয়াল -  https://goo.gl/v69n2c


Monday, March 20, 2017

“তবু হেমন্ত এলে অবসর পাওয়া যাবে...(দ্বিতীয় পর্ব)”


বিসমিল্লাহির রহমানীর রহীম

অবসর  কাটানোর খুব চমৎকার এবং আমার অতি প্রিয় একটা উপায় হচ্ছে বই পড়া । কিছু অখন্ড অবসর, এক মগ কফি আর একটা ভালো বই ... আহ! জীবনে আর কী চাই !

বিবাহিতরা এখানেও বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন । কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরে ফ্রেশ হয়ে ব্যালকনিতে আরাম করে বসলেন দু’জন । ঝিরি ঝিরি বাতাস বইতে শুরু করলো । হাতে আগুন গরম চা আর প্রিয় কোন বই । আহ! জীবন শান্তি!    

বইয়ের কালো  কালির নিষ্প্রাণ হরফগুলোর যে কী শক্তি একবার যদি আমরা উপলব্ধি করতে পারতাম! বাঙ্গালী  ঐতিহাসিকভাবেই  বই কেনার প্রতি তেমন  আগ্রহী ছিল না কখনোই, কিন্তু একটা সময় ছিল বাঙ্গালী ধার করে হোক বা পাঠাগারে যেয়ে হোক টুকটাক বই পড়েছে ।  এই ফেইসবুক,ইউটিউবের যুগে বাঙ্গালী এতোটা বইবিমুখ যে হয়েছে তা অতীতে আর কখনো হয়নি ।  পড়ার কোন বিকল্প নেই ,ভাই পড়ুন ।

কি বই পড়া যেতে পারে ?

খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ।

জীবনের বড় একটা সময় কেটেছে জাফর ইকবালদের মতো সস্তা,কপি পেস্ট লেখকদের ছাইপাঁশ পড়ে । এখন আফসোস করে মরি । ইশ! ছাইপাঁশ গাঁজাখুরি লিখা গুলো পড়ে কেন যে সময় নষ্ট করলাম !


বই মানুষের মনোজগত পরিবর্তনের খুবই শক্তিশালী একটি মাধ্যম । দুএকটা হিমু পড়লে ইচ্ছে করবে হলুদ পাঞ্জাবি পড়ে সারাদিন রাস্তায় খালি পায়ে হেঁটে বেড়াতে । পর্ন/মাস্টারবেশন নিয়ে যারা সমস্যায় আছেন তাদের অবশ্যপালনীয় একটা কাজ হল ন্যাকা প্রেম,ভালোবাসা,এক চিমটি বিজ্ঞান আর এক চিমটি গাঁজা মিশিয়ে লিখা সায়েন্স ফিকশান টাইপের বইগুলো এড়িয়ে চলা । এই বইগুলো যেমন সময় খেয়ে ফেলে ঠিক তেমনি আপনার বুকের ভেতর একধরনের হাহাকার তৈরি করে । ঈশ! নীরা বা তিথির মতো আমার যদি কেউ থাকতো! রূপার মতো কেউ যদি আমার জন্যে অপেক্ষা করত !     
 অবসরে,বিশেষ করে একা থাকলে এরকম হাজারো চিন্তা ভর করবে আপনার মাথায় । চিন্তা থেকে দুশ্চিন্তা, দুশ্চিন্তা থেকে দুঃখ বিলাস , সেখান থেকে হতাশা , আর হতাশার মুহূর্তেই শয়তান এসে ধরবে ক্যাঁক করে ।

তাহলে কি পড়বো ?

কুরআনের পুরো  অনুবাদ কয়জনের পড়া আছে ? হুমায়ূন,সুনীল, সমরেশের ঢাউস ঢাউস বই পড়ে ফেলেছি, কিন্তু আল্লাহ্‌র বইটার পুরোটা এখনো পড়া হয়নি আমাদের । কি লজ্জা !  লজ্জা আরো বাড়ার আগে এখনই পড়া শুরু করে দেন । মূল আরবি টেক্সট না পড়ে  শুধু অনুবাদ পড়ে যান । প্রথম প্রথম একটু কেমন কেমন লাগতে পারে, কিন্তু বিশ্বাস করুন একসময় খুবই মজা পাবেনআল কুরআন একাডেমী,লন্ডন কর্তৃক প্রকাশিত কুরআনের বাংলা অনুবাদটা আমার ভালো লেগেছিল ।
মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জীবনীও আমাদের পড়া নেই । পড়তে পারেন এটিও । ‘আর রাহেকুল মাখতুম (https://goo.gl/AqUSkD )’, ‘সীরাহ ইবনে হিশাম' বা রেইনড্রপসের ‘সীরাহ (http://bit.ly/2nxO6P4)’  পড়া যেতে পারে ।

রিয়াদুস সালেহীন,হায়াতুস সাহাবা বই গুলোও পড়া যেতে পারে । অন্তর নরম করতে এই বই গুলো খুবই কার্যকরী ।

আলহামদুলিল্লাহ্‌! বাংলাদেশে এখন বেশ সুন্দর সুন্দর বই বের হচ্ছে । বই কিনুন। বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয়না । 

যারা গাঁটের টাকা খরচ করে বই কিনতে চাননা তাদের জন্যে রয়েছে  Kalamullah.com ইচ্ছেমতো  পিডিএফ নামিয়ে  পড়ুন এখান থেকে

নাসীম হিজাযী’র অসাধারণ কিছু ঐতিহাসিক উপন্যাস আছে পড়ে ফেলতে পারেন এগুলোও(http://bit.ly/2mZKHKq)     

অবসর কাটানোর আরেকটা ভালো উপায় হচ্ছে লেকচার শোনা এই ইসলামিক রিমাইন্ডারগুলো (http://bit.ly/2ny3VrY) আপনার পর্ন/মাস্টারবেশন আসক্তি দূর করতে সাহায্য তো করবেই, সেই সঙ্গে আল্লাহ্চাইলে আপনার জীবনের গতিপথই পালটে দিতে পারে

কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে লেকচার শোনার মধ্যে অন্যরকম একটা মজা আছে, না শুনলে ঠিক বলে বোঝানো যাবে না । অন্য উপকার না হোক, লেকচার শুনতে লাগলে পাঁচ-দশ মিনিটের মধ্যে ঘুমিয়ে  পড়বেন এটা নিশ্চিত :P 

 আমাদের মফঃস্বল শহরটা এমনিতে খুবই সুন্দর । ফাগুনের দিন আর ফাগুনের রাতে এই শহরে যেন বেহেশত নেমে আসে; এতো সুন্দর! অর্ধেক নগরী তুমি,অর্ধেক কল্পনা...

ফাগুনের এক দুপুরে এই শহরের একরাস্তায় হাঁটার সময় মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম একবার - এই শহরের,এই রাস্তায়,এইরকম ফাগুনের দুপুরে বউয়ের হাতে হাত রেখে হাঁটতে চাই, একবার হলেও । বউকে দেখাতে চাই, “এইযে দেখ জীবনবাবুর সেই ভাঁটফুল,আর ঐযে, যে গাছটাতে আগুন লেগেছে সেটা পলাশ । দুপাশের অতন্দ্রপ্রহরীর মতো যে গাছগুলো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে আর তাদের ঝরে পড়া পাতাগুলো তোমার আমার গা ছুঁয়ে পড়ছে পথের ওপর সেগুলো গগণ শিরীষ”।   

দুটো কারণে প্রতিজ্ঞাটা এখনো পূরন করে উঠতে পারিনি ...
শহরের ঐ রাস্তায় ফাগুনের ঐ সময়ে আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি আর আমার বউয়ের দেখাও পাইনি এখনো

ছুটির দিনে অযথা ফেসবুকিং না করে,টিভিসেটের সামনে না বসে থেকে  স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হোন। কক্সবাজার,বান্দরবন বা দেশের বাহিরে ঘুরতে যেতে হবে সে কথা বলিনি। বাসার পাশের রাস্তাতে দুজনে হাঁটুন, আইস্ক্রীম খান, ঝালমুড়ি খান,রিকশাতে করে আশপাশটা চক্কর দিন। চাঁদনী পসার রাতে একসঙ্গে জ্যোৎস্না দেখুন, শ্রাবণসন্ধ্যায় ঘর অন্ধকার করে জানালার ধারে বসে থাকুন দু’জন । 

একমহাসমুদ্র ভালোবাসা নিয়ে দুজন মানুষ কাছাকাছি আসে বিয়ের মাধ্যমে । সংসার নামের কুখ্যাত কারাগারে ফেঁসে যেয়ে সেই ভালোবাসার মহাসমুদ্র শুকিয়ে মরা খালে পরিণত হতে খুব বেশি সময় লাগে না। স্ত্রীকে সময় দিন। তাঁর রান্নার প্রশংসা করুন, প্রয়োজনে পাম দিন, মরা খালেও জোয়ার আসবে ইনশাআল্লাহ্‌  

সপ্তাহজুড়ে কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপে পিষ্ট হয়ে আপনার অন্তর হয়ে যায় শূন্য। আপনি থাকেন মানসিকভাবে বিধ্বস্ত।এই সময়  আপনাকে,শয়তান খুব বেশী কুমন্ত্রণা দেয় পর্নমুভি দেখার ।এইসময় আপনার দরকার আপনার স্ত্রীকে । আপনার স্ত্রীরও দরকার আপনাকে । সারা সপ্তাহ জুড়ে বেচারী আপনাকে কাছে পায়না। এই একটা বা দুটোদিন তাঁকে তো কিছুটা সময় দিন। নাহলে কে জানে একদিন দেখবেন কোন সুযোগ সন্ধানী শেয়াল আপনাদের দুজনের মাঝে সূচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোবে। পরকীয়া,বিবাহ বিচ্ছেদ তো আর এমনি এমনিই বাড়ছে না!

‘বউ’ নিয়ে মাতামাতি করতে যেয়ে আমরা যেন ভুলে না যায় আমাদের মা-বাবার কথা । শুধু টাকা ইনকাম আর রান্না করার জন্যে আমাদের বাবা-মা পৃথিবীতে আসেননি। তাঁদেরও বাহিরে খেতে যেতে ইচ্ছে করে, ইচ্ছে করে ছেঁড়াদ্বীপ আর নীলগিরি দেখতে । তাঁরাও মানুষ। তাঁদেরকেও সঙ্গে নিন।সময় দিন।    

অবিবাহিতরা আবার হাউকাউ শুরু করবেন,“আমাদের তো বউ নেই , আমাদের কী হবে”?
উত্তর পাওয়া যাবে আগামী পর্বে ইনশা আল্লাহ্‌ ......


Sunday, March 5, 2017

“তবু হেমন্ত এলে অবসর পাওয়া যাবে... (প্রথম পর্ব)”

বিসমিল্লাহির রহমানীর রহীম । 

প্রচুর আলো বাতাস আর বিশাল একটা আকাশকে সঙ্গী করে বেড়ে ওঠা আমার কলেজে উঠার পর চলে আসতে হল ইট, পাথর, ধোঁয়া আর যান্ত্রিকতায় ভরা ঢাকা শহরে হোস্টেলের রুমটা প্রথম দর্শনেই অপছন্দ করে ফেললাম ভরদুপুরেও  ঘোর অমবস্যার অন্ধকার জানালা একটা আছে বটে তবে সেটা আলো বাতাস চলাচলের জন্য না; দুর্গন্ধ আর মশা প্রবেশের জন্য ।খাঁচায় রাখা পাখির মতো ছটফট করতো আমার প্রাণ। একটু পা ছড়িয়ে বসার জায়গা নেই,নেই দম ফেলার জায়গা।

কলেজের প্রেসারে রাত দিন এক করে পড়াশোনা করতে হত। তবু বিকেলবেলা কিছুটা হলেও অবসর পাওয়া যেত কিচ্ছু করার ছিলনা তখন   বাতাসের মতো অবাধ ছিল আমার জীবন,মাঠে ঘাটে দৌড়ঝাঁপ করে বড় হয়েছি আমি,  ইলেক্ট্রনিক্স গ্যাজেট আমাকে তেমন টানতো না, সারাদিন ক্লাসের পড়া পড়ার পর গল্পের বইটই পড়তেও ইচ্ছে করতোনা। রুমে মন খারাপ করে আমারই মতো আরেক হতভাগার  সঙ্গে চুপ করে বসে থাকতাম মাঝে মাঝে রাস্তায় হেঁটে বেড়াতাম
উদ্দেশ্যহীন ভাবে।

রিকশার গোলকধাঁধ,লোকাল বাস, ফুটপাতের ফেরিওয়ালা,স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম, অগণিত বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো মানুষ, দীর্ঘশ্বাসের মতো হুইসেল দিয়ে প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে চলে যাওয়া ট্রেন, হেমন্তের  বিষন্ন আলো সব কিছু ছাপিয়ে আমার চোখের সামনে ভেসে উঠতো ছোট্ট একটা নদীর পাড়, নদীর পাড়ের অলৌকিক একটা গ্রাম  

একদল কিশোর সরিষাক্ষেতের আইল দিয়ে সারিবেঁধে হেঁটে যাচ্ছে সরিষাক্ষেতের ওপর হেমন্তের নতুন কুয়াশা গা এলিয়ে দিয়েছে পরম আয়েশে কিশোরদের কারো হাতে স্ট্যাম্প, কারো কাঁধে বল সারাবিকেল মাঠে বল পিটিয়েছে ওরা এখন যে যার বাড়ীতে ফিরে যাচ্ছে অশত্থ গাছের ওপর দিয়ে পূর্ণিমার বিশাল চাঁদটা  উঁকি দিতে শুরু করেছে দূরের একটা গ্রাম থেকে করুন সুরে একটা বাছুর হাম্বা করে উঠলো মাকে ডাকছে বোধহয় ওটা। উত্তরের বাতাসে সেই ডাক ভেসে বেড়ালো অনেকক্ষন নিজের  শহরের ট্রেনটা প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো দেখলে ইচ্ছে করতো সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে এখনি চেপে বসি ট্রেনে





ঢাকা শহরের বাচ্চাদের দেখলে খুব কষ্ট হয়। কি করুণ অবস্থা ওদের! এমন এক সিস্টেম বানিয়ে ফেলেছি আমরা যেই সিস্টেম প্রত্যেকটা মুহূর্তে চুষে নিচ্ছে বাচ্চাদের জীবনীশক্তি বইয়ের ভারে, কোচিং সেন্টারে দৌড়াদৌড়ি আর প্রাইভেট টিউটরের উৎপাতে ওদের জীবনটা কেরোসিন। ওদের ওপর এত চাপ দিয়ে কি লাভ? ওদের প্রতি একটু রহম করুন না ওকে কেনইবা সব বিষয়ে ফুল মার্কস পেতে হবে? ওকে কেনইবা পাশের বাসার ফাইয়াজ বা ফারিহার মতো হতে হবে? আমরা প্রত্যেকেই না আলাদা আলাদা মানুষ ? আমাদের প্রত্যেকেরই আলাদা একটা সত্তা আছে , আছে নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট? কেন আমরা অন্যের কার্বন কপি হতে চাই? কেন?


অন্যের জীবনের দিকে না তাকিয়ে আমরা যদি আমাদের নিজেদের মতো করে জীবন যাপন করতে পারতাম তাহলে এই পৃথিবীটা অনেক বেশি সুন্দর হতো এত টেনশান, এত অস্থিরতা,মানসিক অশান্তি, ইনসোমোনিয়া থাকতো না আমাদের। প্রত্যেকেই জীবনে যেটা হতে চেয়েছিল, যেটা ভালোবাসতো সেটাই হতে পারতো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে রোজ সকালে গোমড়া মুখে ব্যাংকের ডেস্কে বসতে হতো না, লুকিয়ে কবিতা লিখা ছেলেটাকে মনের বিরুদ্ধে পড়তে হতো না বিবিএ    

ঢাকা শহরের যান্ত্রিক হৃদয়হীন মানুষগুলো টাকা,ক্যারিয়ার আর খ্যাতির পেছনে ছুটতে ছুটতে অখন্ড অবসর পায়না বললেই চলে। তারপরেও যতটুকু অবসর পায়,ততটুকু উপভোগ করাও বিশাল এক সমস্যা কত দরিদ্র এই ঢাকা শহর! এক চিলতে আকাশ নেই , নিঃশ্বাস নেবার জায়গা নেই, খেলার মাঠ নেই, বাঁশঝাড় নেই ,নেই বাঁশঝাড়ের মাথার ওপরের সেই নির্ভেজাল চাঁদটাও ! এভাবে মুরগীর কুঠিতে, নয়টা-পাঁচটায় বাঁধা ছকে বেঁচে থাকাকে কি বেঁচে থাকা বলে ? জীবন তেলাপোকার জীবন! জীবন সরীসৃপের জীবনতবুও এই সাদাকালো জঞ্জালে ভরা মিথ্যে কথার শহরে মানুষ লাল নীল সংসার বাঁধার স্বপ্ন দেখে মা ভালোবাসে তাঁর সন্তানকে , স্ত্রী অপেক্ষা করে থাকে কখন ঘরে ফিরবে তার ভালোবাসার  মানুষটা

কি লিখব ভেবে লিখা শুরু করেছিলাম আর অপ্রাসঙ্গিক কতো কি লিখে ফেললাম!

অনেকের ক্ষেত্রেই মাস্টারবেশন বা পর্ন আসক্তি তীব্র আকার ধারণ করে শুধুমাত্র অবসর সময়টাকে ঠিকভাবে কাজে না লাগানোর ফলে   এই লিখাতে ইনশা আল্লাহ্চেষ্টা করা হবে শত সীমাবদ্ধতা থাকার পরেও কীভাবে অবসরকে আনন্দময় করা যায়  সে বিষয়ে আলোকপাত করার

ঘরে ফেরার পরেঃ

সারাদিন অফিস করে বা ক্লাস করে বাসে বাদুড়ঝোলা হয়ে ঝুলে ঝুলে বাসার দরজার কলিংবেল টেপার সময়  এক অদ্ভুত শুন্যতা কাজ করে বুকের ভেতর এই সময়টা,মানে অফিস বা ক্লাস থেকে ফেরার পরের এই সময়টা খুবই নাজুক। যারা মাঝে মধ্যে পর্নমুভি দেখে বা মাস্টারবেট করে  তাদের এই সময় শয়তান কুমন্ত্রণা দেয়, “যা ব্যাটা পর্ন দেখ বা মাস্টারবেট কর , মেন্টাল স্ট্রেস দূর হয়ে যাবে
অনেকেই শয়তানের এই কুমন্ত্রণায় সাড়া দেয় পর্ন/মাস্টারবেশনের ফ্যান্টাসির জগতে হারিয়ে ভুলতে চায় জীবনের সব অবসাদ ক্ষণিকের জন্য অবসাদ দূর হলেও একটু পরেই ফিরে আসে শতগুন শক্তিশালী হয়ে  

ইসলাম কি চমৎকার সমাধানই না দিয়েছে এই সমস্যার !

রাসূলুল্লাহ (সাঃবলেছেন স্বামী যখন ঘরে ফিরবে তখন যেন স্ত্রী দরজা খুলে দেয় পরস্পর সালাম বিনিময় করে   স্ত্রী যেন স্বামীর জন্য সুন্দর করে সাজে  
     
স্ত্রীর হাসিমুখ, মিষ্টি কন্ঠের সালাম বা দুটো নরম কথা , একটু আলতো স্পর্শসারাদিনের  পরিশ্রমে  ক্লান্ত,বিধ্বস্ত স্বামীকে  এক নিমিষেই দিতে পারে দু দন্ড শান্তি, নতুন করে বেঁচে থাকার প্রেরণা ,চোখকে করে দিতে পারে শীতল

“...... তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সঙ্গী সঙ্গিনীদের বানিয়েছেন, যাতে করে তোমরা তাদের কাছ থেকে সুখ শান্তি লাভ করতে পারো
( আল কুরআনঃ ৩০;২১)

পাশ্চাত্যের প্রোপ্যাগান্ডায় ব্রেইন ওয়াশড হয়ে নারী স্বাধীনতার নামে আমরা নারীকে ঘর থেকে বের করে রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছি পুরুষের প্রতিপক্ষ হিসেবে কর্মক্ষেত্রের কর্কশ,কঠোর পরিবেশ নারীর কোমলতা দূর করে দিচ্ছে স্বামীর মনের শুন্যতা আর দূর করবে কি, দিনশেষে বেচারী নিজেই ঘরে ফিরছে শূন্য এক মন নিয়ে কেউই কাউকে পর্যাপ্ত সময় কাছে পাচ্ছে না , দূরত্ব বাড়ছে একটু একটু করে পরকীয়া,পর্ন আসক্তির দুয়ার খুলে যাচ্ছে

  অবিবাহিত ভাইরা এখন হাউকাউ শুরু করবেন আমাদের তো বউ নেই, আমাদের কী হবে ?

ভাই,আমাদের সমাজে বিয়েকে করে ফেলা হয়েছে অনেক অনেক কঠিন হাউকাউ না করে, বিয়ে নিয়ে ফ্যান্টাসিতে না ভুগে আপনাদের চেষ্টা করতে হবে বিয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা বিয়ে আপনার পর্ন আসক্তি বা মাস্টারবেট আসক্তি একেবারে দূর করবে এটা ভাবলে ভুল করবেন বিয়ে কিছুটা সমাধান দিতে পারবে কিন্তু পুরোটা না তাই,লড়াইটা শুরু করতে হবে এই মুহূর্ত থেকেই বিয়ের জন্য বসে থাকলে চলবে না

ঘরে ফেরার পরে খুব দ্রুত ঢুকে পড়বেন বাথরুমে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করে নিবেন ভালোমতো স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে যতোটা কম স্পর্শ করা যায় ততোই ভালো বাথরুমে কাপড় সম্পূর্ণ না খুলে ফেলে কিছু কাপড় শরীরে রেখে গোসল করা উচিত

গোসল শেষে বাথরুম থেকে বের হয়ে মোবাইলে বা সাউন্ডসিস্টেমে চালিয়ে দিন সুন্দর সুন্দর এই (http://bit.ly/2lkMIBU) তিলাওয়াত গুলো আল্লাহ্ কালাম আপনাকে ইনশা আল্লাহ্রক্ষা করবে শয়তানের ধোঁকা থেকে আর সেই সঙ্গে মেন্টাল স্ট্রেস কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করবে

“...... আমি কুরআনে যা কিছু নাযিল করেছি তা হচ্ছে ঈমানদারদের জন্য তাদের রোগের উপশমকারী রহমত (আল কুরআনঃ ১৭;৮২)

হালকা একটু ন্যাপ নিন ছোট ভাইবোন বা পিচ্চিদের সঙ্গে খুনসুটি করতে পারেন মানসিক চাপ কমাতে এগুলো  খুব সাহায্য করে   

হোস্টেলে বা হলে পরিবার ছেড়ে দূরে থাকলে এই সময় বাবা মাকে ফোন করুন খোঁজ খবর নিন ইমো,ভাইভার এগুলোর সদ্ব্যবহার করুন মন খুলে কথা বলুন । মেন্ট্রাল স্ট্রেস দূর হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ্‌ । 

 
চলবে ইনশা আল্লাহ্‌ ......