Sunday, November 20, 2016

রিমাইন্ডার (দ্বিতীয় পর্ব)

বিসমিল্লাহির রহমানীর রহীম



রিমাইন্ডার - ২০
হে যুবক! 
তোমাকে বলছি এখনো কি সময় হয়নি তোমার রবের দিকে ফিরে আসার
 ?
এখনো কি সময় হয়নি তোমার রবের দিকে প্রত্যাবর্তন করার?
আর কত সময় তুমি গুনাহ-এ বিভোর হয়ে থাকবে
 ? আর কত সময় তুমি পাপের সমুদ্রে হাবুডুবু খাবে ? আর কত সময় তুমি তোমার প্রতিপালক সম্পর্কে উদাসীন হয়ে থাকবে ? 

তোমার প্রতিপালক তোমাকে লক্ষ্য করে বলছেনঃ
"হে লোকসকল ! কোন জিনিস তোমাকে তোমার প্রতিপালক সম্পর্কে উদাসীন করে রাখল
 ? " 

হে যুবক!
 
তুমি পাহাড়সম পরিমাণ গুনাহ করে ফেলেছ
 , গুনাহ করতে করতে গুনাহ'র সমুদ্রে হাবুডূবু খাচ্ছ, পৃথিবীর এমন কোন খারাপ কাজ বাদ নেই, যেটা তুমি কর নি। 
মনে মনে ভাবছো ! আল্লাহ সুবহানা ওয়া তা'আলা তোমাকে কখনোই ক্ষমা করবেন না।
 
আল্লাহর রহমতের ব্যাপারে তুমি নৈরাশ হয়ে গেছ।
কিন্তু জেনে রাখ আল্লাহ তোমাকে লক্ষ্য করে বলছেনঃ
 
"হে আমার বান্দারা ! যারা নিজেদের উপর জুলুম করেছ
 , যারা নিজেদের উপর অবিচার করেছ , তোমরা আল্লাহর রহমতের ব্যাপারে নৈরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা তোমাদের সকল গুনাহকে ক্ষমা করে দিবেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু" 
-----------------------------
"
 তোমার রবের দিকে ফিরে এসো " 
(কালেক্টেড)

রিমাইন্ডার - ২১
(ভালো মানুষ হচ্ছে তারা,) যারা যখন কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেলে কিংবা (এর দ্বারা) নিজেদের ওপর নিজেরা যুলুম করে ফেলে (সাথে সাথেই) তারা আল্লাহকে স্মরণ করে এবং গুনাহের জন্যে (আল্লাহর) ক্ষমা প্রার্থনা করে। কেননা আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কে আছে যে তাদের গুনাহ মাফ করে দিতে পারে? (তদুপরি) এরা জেনে বুঝে নিজেদের গুনাহের ওপর অটল হয়েও বসে থাকে না।
(সূরা আলে ইমরান, আয়াত -১৩৫)

রিমাইন্ডার-২২  
লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাত ইল্লাহ বিল্লাহ 
যতবারই এই ভিডিও (https://www.youtube.com/watch?v=pOFZ7sYS48M ) দেখছি , ততবারই উপলব্ধি করছি মানুষ কতটা অসহায়  মৃত্যুর চৌকাঠে পা রেখেও মানুষ গত দম্ভ আর অহংকারের সঙ্গে জমিনের বুকে হেঁটে বেড়ায়  ভাবটা এমন সে চিরদিন এভাবেই বেঁচে থাকবে , কোনদিন তাকে পোকা মাকড়ের ঘর অন্ধকার কবরে যেতে হবে না  মুনকার নাকীর কোনদিন তাকে রিমান্ডে নিবে না 

কয়েকটা নিউজের লিংক দেওয়া হল
  সবগুলো নিউজই একটা বিষয় কমন - আকস্মিক মৃত্যু  
পর্ন দেখা অবস্থায়
  
শেষ বিচারের দিন কি অবস্থায় এরা আল্লাহ্‌র সঙ্গে দেখা করবেন
 , ভেবে দেখুন একবার  
লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাত ইল্লাহ বিল্লাহ
 
ইয়া আল্লাহ্‌, আমাদের এরকম করুন পরিনতি থেকে রক্ষা করুন  আমাদের শেষকাজ যেন হয় আমাদের জীবনের সবচেয়ে ভালো কাজ  জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অংশ যেন হয় সর্বশেষ অংশ , আর জীবনের সবচেয়ে ভালো দিন যেন হয় শেষ বিচারের দিন 

রিমাইন্ডার -২৩
কোন পাপ করার জন্য আপনার কামনা যত বড় হবে, সেই পাপকে এড়িয়ে গেলে আপনার ঈমান তত বড় হবে।”
-
 শাইখ মুহাম্মাদ বিন আল-উসাইমিন 

রিমাইন্ডার – ২৪  
যদি আপনি আপনার ঈমানের অবস্থা পরীক্ষা করতে চান তবে যখন একা থাকেন তখন নিজেকে পর্যবেক্ষণ করুন। একাকী থাকা অবস্থায় নিজেকে পর্যবেক্ষণ করুণ।
শুধু দু রাকাত সলাত আদায় এবং একদিন রোজা রাখার মাধ্যমে ঈমান সৃষ্টি হয় না..
বরং এটা সৃষ্টি হয় নিজের নফস এবং এর কামনা-বাসনার বিরুদ্ধে মুজাহাদা করার মাধ্যমে।
আল্লাহরর কসম! ইউসুফ(আ) এত বড় মর্যাদা এবং সফলতা লাভ করতে পেরেছেন তার নিজ প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার কারণে।
"পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করেছে এবং নিজেকে কামনা
 বাসনা থেকে নিবৃত্ত রেখেছে, তার ঠিকানা হবে জান্নাত"-(৭৯: ৪০-৪১)

যেদিন আল্লাহর আরশের ছায়া ব্যতিত আর কোন ছায়া থাকবে না, সেদিন যারা আল্লাহর আরশের ছায়ায় স্থান পাবে তাদের মধ্যে একজন হচ্ছে....যে নির্জনে আকাকী অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার দুই চোখ অশ্রুতে ভিজে যায়....

রিমাইন্ডার – ২৫
আমাদের জীবনের বিশাল একটা সময় আমরা খরচ করি নিজেদের সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য। আমরা সবাই চাই পোষাক, পারফিউম, হেয়ারস্টাইল, আচরণ, বাচনভঙ্গি – সবক্ষেত্রেই মানুষের সামনে নিজেদের একটি পরিশীলিত রূপ তুলে ধরতে। আরেকজন মানুষ আমাকে দেখছে – এটা জানা মাত্রই সাধারণত আমাদের আচরণে একটা পরিবর্তন আসে। বিশেষ ভাবে বিপরীত লিঙ্গের কারো মনোযোগ পেলে আমরা বেশ অনেকটাই আত্মসচেতন হয়ে উঠি। 
.
বলা যায় আমাদের সবার বিভিন্ন ভারশান বা সংস্করণ আছে। স্থান-কাল-প্রেক্ষাপট অনুযায়ী আমরা নিজেদের বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করি। জাকজমকপূর্ণ কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে আমরা যেভাবে নিজেদের তুলে ধরতে চাই সেভাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুদের সামনে আমরা নিজেদের উপস্থাপন করি না। সহকর্মীদের সাথে আমাদের আচরণ যেমন হয়,
 নিজ পরিবারের সাথে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা সেভাবে আচরণ করি না।
.
অলস দুপুরে ভুঁড়ি উদোম করে নাক ডাকতে থাকা দোকানীও কাস্টোমার আসা মাত্র সলজ্জ ভাবে চেষ্টা করে নিজেকে উপস্থাপনীয় করে তুলতে। এলাকার সবচেয়ে বেপরোয়া ছেলেগুলোও মুরব্বি আর বড় ভাইদের সামনে সিগারেট ‘ব্যান’ করে। দুই হাতে পেছনে দিয়ে সুবোধ ছেলের মতো দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। বাসে অবলীলায় নাক খোঁচাতে থাকা লোকটাও যখন বুঝতে পারে মানুষ তার দিকে তাকিয়ে আছে,
 তখন চেষ্টা করে যথসম্ভব ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ ভাবে নাকের ভেতর থেকে আঙ্গুল সরিয়ে আনার (অধিকাংশ ক্ষেত্রে)। 
.
রিকশায় কিংবা সিএনজি প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে পাবলিকলি অসভ্যতায় মেতে ওঠা ছেলে বা মেয়েটাও চিন্তা করতে পারে না তার মা-বাবা কিংবা পরিবারের কারো চোখের সামনে একই কাজ করার। রাস্তার মোড়ে মোড়ে রিকশাচালকদের কাছ থেকে ঘুষ নিতে থাকা লোকগুলোও চেষ্টা করে নিজেদের নির্লজ্জতা ঢাকার। ঘুষ যাদের জীবিকার মূল উৎস তারাও চেষ্টা করে কমিশন,
 স্পীড মানি, বখশিশ, নাস্তা-পানির টাকা – শ বিভিন্ন নামে নিজেদের অপরাধের একটা সম্মানজনক ব্যাখ্যা দেবার। 
.
আর আমরা যখন সম্পূর্ণ একা,
 যখন আমরা নিশ্চিত থাকি আর কেউ আমাদের দেখছে না – তখন আমরা যেভাবে থাকি, লোকচক্ষুর সামনে আমরা সেভাবে থাকি না। সামাজিক সঙ্কোচ, লৌকিকতার সীমানা, চক্ষুলজ্জার লাগাম যখন থাকে না তখন আমরা অনেকাংশেই বদলে যাই। কেউ আমাকে দেখছে না এটা জানা আমাদের প্রভাবিত করে। আর তাই নির্জনে আমরা এমন অনেক কাজ করি যা কারো সামনে করার কথা আমরা কল্পনাও করি না।
.
কিন্তু আমরা ভুলে যাই একজন সব সময় আমাদের দেখছেন। যখন আমরা আমাদের পরিবারের চোখের আড়াল হই তখনো তিনি আমাদের দেখছেন,
 যখন আমরা লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে থাকি তখনো তিনি আমাদের দেখছেন। যখন আমরা লোকচক্ষুর অন্তরালে কিংবা অন্ধকারের আড়ালে সীমালঙ্ঘনে মেতে উঠি তখনো তিনি আমাদের দেখেন, যখন আমরা নিজেদেরকে ধুয়ে মুছে মানুষের সামনে আসি তখনো তিনি আমাদের দেখছেন। 
.
তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে,
 সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। 
.
মাটির নিচে,
 আকাশের উপররে, সমুদ্রের গভীর কোন কিছুই তাঁর অগোচরে হয় না। কোন কিছুই তাঁর কাছে গোপন থাকে না। আপনার অপরাধ, আপনার সীমালঙ্ঘন, আপনার মুহুর্তের পদস্খলন এমনকি আপনার মনের গভীরে লুকিয়ে রাখা চিন্তাগুলো - আপনি কোন কিছুই তাঁর কাছ থেকে আড়াল করতে পারবেন না।
.
আর তুমি যে অবস্থাতেই থাক না কেন আর যা কিছু তিলাওয়াত কর না কেন আল্লাহর পক্ষ হতে কুরআন থেকে এবং তোমরা যে আমলই কর না কেন,
 আমি তোমাদের উপর সাক্ষী থাকি, যখন তোমরা তাতে নিমগ্ন হও। তোমার রব থেকে গোপন থাকে না যমীনের বা আসমানের অণু পরিমাণ কিছুই এবং তা থেকে ছোট বা বড়, তবে (এর সব কিছুই) রয়েছে সুস্পষ্ট কিতাবে।” [সূরা ইউনুস। ৬১] 
.
মানুষের ব্যাপারে আমরা লজ্জা বোধ করি। মানুষের দৃষ্টির ব্যাপারে আমরা সঙ্কোচবোধ করি। পারিপার্শ্বিকতার কারনে আমরা আমাদের আচরণ,
 ব্যবহার আর প্রবৃত্তির উপর লাগাম দেই। কিন্তু আমরা ভুলে থাকি আল্লাহ আমাদের দেখছেন। আমরা ভুলে যাই তিনি সব কিছু শোনেন, তিনি সব কিছু দেখেন, তিনি সব কিছু জানেন। আমরা ভুলে যাই তাঁর সামনে আমাদের দাঁড়াতে হবে। আমরা ভুলে যাই সেইদিন আমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সাক্ষ্য দেবে। আমরা ভুলে যাই সেইদিন এমন এক কিতাব, এমন এক আমলনামা আমাদেরকে দেয়া হবে যাতে ছোট বড় কোন কিছুই বাদ দেয়া হবে না। 
.
যিনি অন্ধকারের সৃষ্টিকর্তা তিনি আপনাকে দেখছেন। যিনি আলোর সৃষ্টিকর্তা তিনি আপনাকে দেখছেন। যিনি সমস্ত কিছুর সৃষ্টিকর্তা,
 সেই মহাস্রষ্টা আপনাকে দেখছেন। প্রতিটি মূহুর্তে। এক সেকেন্ডের লক্ষ কোটি ভাগের এক ভাগের জন্যও তাঁর আড়াল আমরা হতে পারি না। তবুও কি আমরা আল্লাহকে স্মরণ করবো না? তবুও কি আমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দৃষ্টির ব্যাপারে সলজ্জ হবো না?
.
 
#KnowYourDeen
ইউটিউব লিঙ্ক -
 https://youtu.be/DO7R0MKGjQ0
কৃতজ্ঞতা
 Asif Adnan


Saturday, November 5, 2016

সমকামীদের ভ্রান্ত দাবি ও নাস্তিকদের মিথ্যাচার ( শেষ পর্ব)

বিসমিল্লাহির রহমানীর রহীম  
Homosexuality & Heterosexuality এর মধ্যে পার্থক্যঃ
Homosexuality উভয়ের পেছনেই জিনেটিক প্রভাব নেই। আসলে জীন আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে না বরং জীন আমাদের একটা অবস্থার জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হয় [১]। তেমনি জীন আমাদের সঙ্গম করার জন্য প্রস্তুত করে কিন্তু আমরা কিভাবে সঙ্গম করব সেটা জীন নির্ধারণ করতে পারে না, সেটা নির্ধারিত হয় ব্যক্তির দ্বারা ।  অর্থাৎ  Homosexuality  হল 'matter of choice’

কিন্তু Heterosexuality এর পেছনে বায়োলজিক্যাল ও Environmental প্রভাব আছে মানুষের জন্য Heterosexual হওয়া হল স্বাভাবিক কারণ Heterosexuality  এর সাথে মানুষের Survival instinct  ও reproductive instinct এর সম্পর্ক আছে ।  মানুষের জন্য Survival instinct  ও  reproductive instinct গুরুত্বপূর্ণকারণ এই দুটা ছাড়া মানুষের অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যাবে। অথচ Homosexuality এর সাথে  এই দুই instinct  এর কোন সম্পর্কই নেই !



সমকামীরা সঙ্গম করার পর অসুস্থতাছাড়া অন্য কোন ফলাফল পায় কি? না পায় না। অর্থাৎ তারা ইনপুট করে ঠিকই কিন্তু কোন আউটপুট পায় না! এর কারণ হল যে তারা ভুল বায়োলজিক্যাল তথ্য ইনপুট করছে মানব শরীরে অথচ Heterosexual রা সঠিক বায়োলজিক্যাল তথ্য ইনপুট করছে বলে তারা বায়োলজিক্যাল আউটপুটও পাচ্ছে।

এখানে একটা জিনিস লক্ষ্যণীয় যে সমকামীদের অস্তিত্ব Heterosexualদের অস্তিত্বের উপর নির্ভরশীল কিন্তু Heterosexualদের অস্তিত্ব সমকামীদের উপর নির্ভরশীল নয় কারণ সমকামীদের বংশবৃদ্ধি করার কোন ক্ষমতাই নেই, এইজন্য Homosexuality হল একটা ভঙ্গুর অবস্থা অথচ Heterosexuality হল একটা শক্ত অবস্থা । এ কারণে পৃথিবীর সব সমকামীদের যদি আপনি একটা দ্বীপে অবস্থান করতে দেন তাহলে এরা এমনিতে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

এছাড়া অন্যান্য রিসার্চের দ্বারা Homosexuality ও Heterosexuality এর মধ্যে যেসব পার্থক্যগুলো জানা যায়--
১) UCLA এর রিসার্চাররা তাদের একটি গবেষণায় দেখিয়েছেন যে, সমকামীদের যৌন সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় না।তাদের গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রায় ৫১% সমকামী পুরুষদের Relationship Status হল সিঙ্গেল, অথচ বিষমকামী পুরুষদের ক্ষেত্রে পরিমাণটা হল মাত্র ১৫%! [২]

২) সমকামীরা বিষমকামীদের তুলনায় দ্বিগুণ যেন সমস্যার মুখোমুখি হয়[]

৩)সমকামীরা যদি কারো সাথে সম্পর্কও করে তবুও সেই সম্পর্ক বেশিদিন টিকে না। ৬০% সমকামী পুরুষদের সম্পর্ক ১ বছরেরও কম টিকে এবং বেশিরভাগ সমকামী নারীদের সম্পর্ক ৩ বছরেরও কম টিকে| [৪]

এছাড়াও Homosexuality এর আরো সমস্যা আছ। fo Heterosexuality এর সমস্যা এতটাই কম যে সেটাকে অগ্রাহ্য করা যায়

এইজন্যই আমাদের শরীর তৈরী মূলত Heterosexuality এর জন্য Dr. Neil Whitehead এই সম্পর্কে বলেন--

" যদি DNA তে কিছু প্রোগাম হতে যায় তাহলে আপনি ধরে নিতে পারেন যে সেটা Heterosexuality হবে"[]
তথ্যসূত্র:

[১] My genes made me do it! by Dr Neil Whitehead
[২] Charles Strohm, et al., “Couple Relationships among Lesbians, Gay Men, and Heterosexuals in
California: A Social Demographic Perspective,” Pa-per presented at the annual meeting of the American Sociological Association, Montreal Convention Center, Montreal, Quebec, Canada, (Aug 10, 2006): 18. Accessed at: http://www.allacademic.com/metaplo.1912 index.html
[৩] Laumann EO, Paik A, Rosen RC. 1999. Sexual dysfunction in the United States: Prevalence and predictors. JAMA 281:537–44
[8] West DJ. 1977. Homosexuality Reexamined. London: Duckworth


[৫] My genes made me do it! by Dr Neil Whitehead page-79

সমকামিতা সৃষ্টির কারণ:
সমকামিতা যেহেতু জন্মগত নয় তারমানে হল সমকামিতা সৃষ্টি হয় সমাজের ও পরিপার্থিক অবস্থা দ্বারা আমি এখানে কিছু সমকামিতার কারণ সংক্রান্ত গবেষণার কথা উল্লেখ করব --

১) বিকৃত নগরায়ন সমকামিতা বিস্তারে বিকৃত নগরায়নের ভূমিকা আছে। নগরায়নে যদি বিকৃত অশ্লীল উপাদানের প্রভাব বেশি থাকে তাহলে সে নগরায়ন সমকামী সৃষ্টি করে। Laumann এর এক স্টাডি থেকে এই বিষয়টা প্রমাণিত হয়েছে। নিম্নে Laumann স্টাডির ফলাফল দেখানো হল--
Figure-1: Laumann Study"
এই রিসার্চ থেকে দেখা যায় যে , বড় শহরের পরিবেশ সমকামিতা সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা পালন করে গ্রাম্য পরিবেশের তুলনায়। পশ্চিমা দেশগুলোর বড় শহরগুলোর পরিবেশ খুবই অশ্লীল ও নোংরা।এজন্য সেখানে সমকামিতার মত বিকৃত যৌন আচরণ দেখা যায়ও বেশি।
অর্থাৎ সমকামিতা বিস্তারে পরিবেশ একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।

২)পারিবারিক অবস্থাঃ বেশিরভাগ সমকামীদের পরিবারিক ইতিহাস ঘেটে দেখলে দেখা যায় যে তাদের সাথে হয় বাবা নাহলে মায়ের সাথে সম্পর্কে খারাপ অথবা তাদের মাতা-পিতার দাম্পত্য জীবন খারাপ।

শৈশবকাল, সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ শৈশবকালেই একজন শিশু অন্যকে অনুকরণ করতে শেখে তাই কোন ছেলের   যদি তার  বাবার সঙ্গে ছোটবেলায় খারাপ সম্পর্ক থাকে তখন সেই ছেলের মধ্যে পুরুষত্ব দুর্বলভাবে সৃষ্টি হয় ।  তেমনি যদি ছোটবেলায় কোন মেয়ের , তার মায়ের  সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়ে থাকে তখনও সেই মেয়ের মাঝে নারীসুলভ স্বভাব দুর্বলভাবে গঠিত হয়। আর এর ফলে ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই  ‘gender non-conformity নামক  সমস্যার সৃষ্টি  হয় ।  "childhood gender non-conformity"  একজন ব্যক্তিকে সমকামী করতে   গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।" [৩,৪]

৩)কৈশোরের যৌন কার্যক্রম:

কৈশোরের যৌন কার্যক্রমের উপর যৌবনের যেন কার্যক্রম অনেকাংশ নির্ভর করে ।  Van Wyk and Geist এর রিসার্চে দেখা যায় যে, বেশিরভাগ লেসবিয়ানরা পূর্বে নারীদের দ্বারা হস্তমৈথুন করেছে । তেমনি পুরুষদের ক্ষেত্রেও এই কথাটা প্রযোজ্য। [৫]

অর্থাৎ কৈশোরের হোমোসেক্সুয়াল বিহেভিয়ারের কারণে অনেকে ভবিষৎ এ বিপরীত লিংগের দ্বারা আকৃষ্ট হয় না এবং উত্তেজিত হয় না।

বিষয়টা আরো পরিষ্কার করে বুঝা যায় Porn Addict দের দেখলে এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, পর্ণ এডিক্টরা বাস্তব জীবনের যৌনসংগী দ্বারা উত্তেজিত কম হয় কিংবা উত্তেজিত হতে সমস্যা হয় [৬] । এর কারণ হল আমাদের ব্রেন আমাদের ব্রেনের Adaption ক্ষমতা প্রবল যখন একজন Porn Addict ,পর্ণ দেখে উত্তেজিত হয় তখন সে মূলত নিজেকে Graphic/Virtual Data দিয়ে উত্তেজিত করে আর ব্রেনও এটা এডাপ্ট করে নেয়। তাই যখন ব্রেন Real Data পায় তখন সেটা ঠিকভাবে Analyses  করতে পারে না । ফলে ব্যক্তি তার সঙ্গী দ্বারা প্রবলভাবে উত্তেজিতও হতে পারে না। সমকামীদের ব্যাপারটাও কিছুটাও এইরকম শৈশব ও কৈশোরে তাদের বিকৃত যৌন আচরণের সাথে ব্রেন নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয় ফলে পরবর্তীতে সে বিপরীত লিংগের দ্বারা উত্তেজিত হতে পারে না।

৪) যৌন নির্যাতন:- যৌন নির্যাতন সমকামিতা সৃষ্টির একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ 

রিসার্চার Finkelhor তার এক গবেষণায় পেয়েছেন যে, যেসব অল্পবয়সী পুরুষ তাদের থেকে বয়সে বড় পুরুষদের দ্বারা যৌনভাবে নির্যাতিত হয়েছে তাদের সমকামী হবার হবার সম্ভাবনা চারগুণ বেশি [৭] । আরেক রিসার্চে দুই-তৃতীয়াংশ লেসবিয়ান বলেছে যে, তারা পুরুষদের দ্বারা যৌনভাবে নির্যাতিত হয়েছিল বার বছর বয়সের পর, বিষমকামীদের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ হল ২৮%” [৮]  ।
শিশু যৌন নির্যাতনের এক রিপোর্টে  ১২%-৩৭% সমকামী বলেছে যে তাদের এই নির্যাতনের অভিজ্ঞতা আছে [৯]

একনজরে সমকামিতা সৃষ্টির কারণ:- একটা স্টাডিতে [১০] সমকামিতা সৃষ্টির পরিবেশগত সব কারণগুলোকে Path Analysis এর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে, নিম্নে সেগুলো দেখানো হল--

ফিগার-১  পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য।


ফিগার -২ নারীদের জন্য প্রযোজ্য ।

তথ্যসূত্রঃ

[১]  Laumann EO, Gagnon JH, Michael RT, Michaels S. 1994. The Social Organization of Sexuality. Chicago: University of Chicago Press
[২]Bell Ap, Weinberg MS, Hammersmith SK. 1981. Sexual Preference: Its Development In Men and Women (Bloomington, Indiana: Indiana university press )
[৩] Bem dj. 1996. Exotic becomes erotic: a developmental theory of sexual orientation. Psychological Review 103, 320–335
[8] drummond Kd, Bradley SJ, peterson-Badali M., Zucker K.J. 2008. A follow-up study of girls with gender identity disorder. Developmental Psychology 44, 34–45.
[৫] van Wyk pH, geist CS. 1984, psychosocial development of heterosexual, bisexual and homosexual behavior. Archives of Sexual Behavior 13, 505–544

[৭] finkelhor d. 1981. The sexual abuse of boys. victimology 6, 76–84.
[৮] gundlach rBI, reiss Bf 1967. Birth order and sex of siblings in a sample of lesbians and non lesbians. Psychological Reports 20, 61–63
[৯]  purcell dW, patterson Jd, Spikes pS. 2008. Childhood sexual abuse experienced by gay and bisexual men: understanding the disparities and interventions to help eliminate them. In Unequal Opportunity. Health Disparities Affecting Gay and Bisexual Men in the United States, rj Wolitski, r Stall, and rovaldiserri, eds. (new York; oxford university press), pp. 72–96.
[১০] Bell et al., 175-page questionnaire

উপসংহার:
পুরো লেখাটা যদি আপনি ভাল করে পড়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয় এখন বুঝতে পারছেন যে সমকামিতা একটা বিকৃত যৌন আচরণ অভিজিত রায়ের মত কিছু মিথুক একে বৈধতা দেয়ার জন্য মিথ্যা কথা বলে বেড়াচ্ছে।
সমকামিতা যাতে সমাজে স্থান না পায় সেজন্য আমাদের সবার উচিত এর প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করা এবং একে প্রতিরোধ করা


(শেষ)



১) প্রথম পর্ব - http://bit.ly/2fiqYCV ২) দ্বিতীয় পর্ব - http://bit.ly/2f7f8bK ৩) তৃতীয়
পর্ব - http://bit.ly/2eAKeKx


#stand_against_Lgbt_propaganda
#মিথ্যায়_বসত 
লিখেছেন-  Farhad Hossain
লেখক Faridpur Medical College এ অধ্যয়নরত